তাজিয়া মিছিলে কোন দেশে কেমন হয় শোকের মাতম
আজ থেকে প্রায় তেরোশ বছর আগের কথা। ইসলামি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র ঈমাম হুসাইন। সেই থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে গোটা বিশ্বের লাখ লাখ শিয়া মুসলিম শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
কারবালার যুদ্ধে ঈমাম হুসাইনের মৃত্যুর পর থেকে শিয়া মুসলিমদের শোক দিবস হিসেবে পালিত এ দিনটিকে বলা হয় আশুরা। আশুরাকে স্মরণ করতে এ দিনটিতে মিছিল করে শিয়া মুসলমানরা। এ মিছিলের নাম হলো তাজিয়া মিছিল।
বিশ্বের অনেক শিয়া মুসলিমরা নিজেদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মাধ্যমে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে শোক প্রকাশ করে। এই প্রথা না মেনে চলার জন্য অনেক শিয়া আলেম নিষেধ করলেও প্রতিবছর আশুরা আসলেই শিয়া মুসলিমরা রাস্তায় নেমে নিজেদের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করার মাধ্যমে তাদের শোক প্রকাশের এ প্রথা ছেড়ে দেয় নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের এই তাজিয়া মিছিলের ছবিতে দেখা যাক গোটা বিশ্বের শিয়া সম্প্রদায়ের শোক পালনের সেইসব দৃশ্য
রাজধানী মানামায় এভাবেই রক্তাত্ব অবস্থায় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে কারবালার ঘটনার স্মরণ করে বাহরাইনের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়।
কিভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র ঈমাম হুসাইনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো মাথায় ছুড়ি ধরে সেটাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন একজন বাহরাইনের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলমান।
ইরানের শিয়া সম্প্রদায় দেশটির রাজধানী তেহরানে কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে ঠিক তার মতো করে ভিন্নধর্মী আয়োজন করে। আর এর মাধ্যমে তারা ঈমাম হুসাইনের করুণ মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয় শিয়া মুসলমানদের।
ইরাকে পবিত্র কারবালায় শিয়া সম্প্রদায়ের নারীরা ঈমাম হুসাইনের সেই ঘটনার স্মরণে মোমবাতি জালিয়ে দিচ্ছে। এখানেই হযরত ঈমাম (রাঃ) কে হত্যা করেছিলো এজিদ বাহিনী।
পাকিস্তানের শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা নিজেদের শরীরে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করার মাধ্যমে শোকাবহ আশুরাকে স্মরণ করছে।
নিজের শরীরকে ছুড়ি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার পর পানি পান করছেন এক পাকিস্তানি শিয়া মুসলিম
ইসলামাবাদে এক শিয়া মুসলিম কয়েকটি ধারালো চাকু একসঙ্গে বেঁধে সেটা দিয়ে আরেকজনের পিঠে আঘাত করে রক্তাত্ব করছে।
লেবাননে এক শিয়া মুসলিম ক্ষুর দিয়ে তার কপাল কেটে নিজেকে রক্তাত্ব করে কারবালার সেই ঘটনার শোক প্রকাশ করছে।
এসএ/এমএস