ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ এখনো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত এক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও বাংলাদেশে এখনও জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়ে গেছে। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এসব কথা বলা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালে সংঘটিত তিনটি হামলার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল। এ সংখ্যা আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালের চেয়ে কম।

মার্কিন প্রতিবেদনের ভাষ্য, বাংলাদেশ সরকার হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিদের দায়ী করলেও ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে সংঘটিত প্রায় ৪০টির মতো হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস এবং ভারতীয় উপমহাদেশীয় আল-কায়েদা'র (একিউআইএস) মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠনগুলো।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয় জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের কোনও ঘোষিত কর্মকৌশল না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া বিদেশি জঙ্গি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইনেরও অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়। সন্দেহভাজন বিদেশি জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের বিদ্যমান আইনে গ্রেফতার এবং অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এ ছাড়া ঢাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা এবং সিলেটের আতিয়া মহলের দুটি বোমার বিস্ফোরণ, যাকে আইএস এর ঘাঁটি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাস বিরোধী আইনটি পুরোদমে প্রয়োগ করছে দেশটির ফৌজদারি বিচার বিভাগ। তাছাড়া জঙ্গিদের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেয়ার মতো জটিল অর্থনৈতিক মামলাগুলোর বিচার করার জন্য দেশটির সক্ষমতা যথেষ্ট নয়।

প্রতিবেদনে এও বলা হয়, বাংলাদেশের কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। এ দেশের বহু জঙ্গির নাম-পরিচিতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ভিডিও, ওয়েবসাইট এবং বক্তৃতায় পাওয়া গেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় আগের বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ ২৩ শতাংশ কমেছে। গত বছর সর্বমোট ১০০টি দেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে ৫৯ শতাংশ হামলা হয়েছে মাত্র পাঁচটি দেশে। এগুলো হলো আফগানিস্তান, ভারত, ইরাক, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন। আর এসব ঘটনায় নিহতদের ৭০ শতাংশই পাঁচটি দেশের নাগরিক। দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, ইরাক, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও সিরিয়া।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এসএ/এমএস

আরও পড়ুন