ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শিক্ষককে বাঁচাতে ‘লিভার’ দান করলেন ছাত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষককে নিজের লিভার দান করে মহানুভবতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন এক ছাত্র। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে নিজের লিভার দান করা ওই শিক্ষার্থী পেশায় চিকিৎসক। ছাত্রের দেয়া লিভারে নতুন জীবন পেলেন শিক্ষক।

২৫ বছর বয়সী চেন জে রঙ পেশায় চিকিৎসক। মালয়েশিয়ার কুয়ানতানের কং মিন চাইনিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। এই স্কুলের শিক্ষক লিয়াং ফেং পিনকে নিজের লিভারের ৬৭ শতাংশ দান করেছেন তার ছাত্র চেন।

চেনের বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন লিয়াং। এই শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে ঝেং জি জিংও ছিলেন চেনের সহপাঠী; যখন তাদের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর।

আরও পড়ুন : জার্মানিতে চালু হলো পুতুলের পতিতালয়

লিয়াংয়ের লিভারের সমস্যা দেখা দেয়ার পর চিকিৎসকরা দ্রুত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শিক্ষকের জীবন বাঁচাতে কোনো ধরনের ঝুঁকির কথা চিন্তা না করে নিজের লিভার দান করার সিদ্ধান্ত নেন চেন।

ন্যানইয়াং সিয়াং পও মেডিক্যাল ফাউন্ডেশন ফেসবুকে পেইজে দেয়া এক পোস্টে বলেছে, সম্প্রতি চেন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে লিভার পুনরায় বাড়তে শুরু করলে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।

‘চেন এখন শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ এবং বসতে পারে। তবে এখনও তার সামান্য ব্যথা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন। রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে চেনের লিভার তার শিক্ষক লিয়াংয়ের শরীরে এখন পর্যন্ত সচল রয়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাকে (শিক্ষক)।’

আরও পড়ুন : মেয়ের মৃত্যুর খবর টিভিতে পড়লেন মা (ভিডিও)

ফেসবুকে দেয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘প্রথম ছয় মাস লিয়াংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। তবে তার অবস্থা যদি স্থিতিশীল থাকে, তাহলে আগামী এক মাসের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।’

ওই শিক্ষকের মেয়ে ঝেং জি জিং বলেন, সম্প্রতি তার মা’কে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলেও চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা ভালো আছে। সব সঙ্কটের মাঝেও তিনি চেনের খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।

লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের রাতে ঝেং ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মায়ের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসা বাল্যকালের স্কুলবন্ধুকে ধন্যবাদ জানান।

সূত্র : দ্য স্টার মালয়েশিয়া।

এসআইএস/এমএস

আরও পড়ুন