রুশ হামলায় তছনছ ইদলিব
রুশ যুদ্ধবিমানের হামলায় তছনছ হয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইদলিব প্রদেশ। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইদলিবে মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওই শহরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জোরালো হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংঘর্ষ এড়াতে সিরিয়ার মিত্র মস্কো দেশটিতে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসা আঙ্কারার সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেছে। তা সত্ত্বেও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে।
ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আব্দেল রহমান বলেন, ২২ দিনের বিরতি শেষে ইদলিব প্রদেশে আবারো যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে আব্দেল রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী লাটাকিয়া প্রদেশে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলার একদিন পর এই অভিযান শুরু করেছে মস্কো। বিদ্রোহীদের ওই হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর তিন যোদ্ধা মারা গেছে।
সিরীয় জিহাদী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শ্যাম জোট নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে মঙ্গলবারের এ হামলা চালিয়েছে মস্কো। এর মধ্যে দেশটির বৃহৎ শহর জিসর আল-শুঘুরও রয়েছে। তবে আরিহা শহরে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীগোষ্ঠীর ওপরও হামলা হয়েছে।
এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণহানির কোনো তথ্য জানাতে পারেনি সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
২০১৫ সালে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হাত থেকে ইদলিব ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির এই অঞ্চলই এখন তাদের মূল ঘাঁটি। বিদ্রোহীদের উৎখাত করতে সিরীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়াও ইদলিবে সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘আমরা জানি যে, এই সঙ্কট সমাধানের জন্য সিরীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইদলিবকে ‘সন্ত্রাসবাদের পকেট’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের সমর্থনে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে মস্কো। বিদ্রোহীদের ঠেকাতে দেশটির লাটাকিয়া প্রদেশের মেইমিম ঘাঁটি থেকে এই হামলা পরিচালনা করছে তারা।
এসআইএস/পিআর