ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘পাকিস্তান শান্তি চায়’ বার্তা দিয়ে ফের বিতর্কে সিধু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার এবং পাঞ্জাবের পর্যটন ও সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর পাকিস্তান সফর নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। শত বিতর্ক পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে তার ‘বন্ধু’ ইমরান খানের শপথ গ্রহণে যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানে গিয়ে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করাতেও অনেক সমালোচনা সইতে হচ্ছে তাকে।

এবার ইমরান খানের পক্ষে কথা বলে সেই বিতর্ককে যেন আরও উসকে দিলেন সিধু। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজে তাকে একথা জানিয়েছেন।

রোববার এক সাংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিধু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। নিজেদের সম্পর্কের বরফ গলানোর জন্য দুদেশকে শুধু এগিয়ে আসতে হবে।

সিধু আরও জানান, ইমরান তাকে বলেছেন- ভারত যদি এক ধাপ এগোয়, পাকিস্তান তবে দুধাপ এগিয়ে আসবে।

Imran-Sidhu-2

এই সংবাদ সম্মেলনের পর ভারতের রাজনৈতিক মহলে আবারও সিধুকে নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।

গত মাসেই পাকিস্তান থেকে ফিরে তিনি বলেছিলেন পাকিস্তানের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কথা। তার বার্তা দিয়েছিলেন দেশকে। একই সঙ্গে সিধু বলেছিলেন তার এই সফর ভারতের পক্ষ থেকে ‘শান্তির বার্তা’। এ নিয়ে বিতর্ক না ছড়ানোর আবেদনও করেন তিনি।

শুধু পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেই ফ্যাসাদে পড়েননি সিধু। ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে তাকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে সিধুর ব্যাখ্যা, একেবারে শেষ মুহূর্তে তার আসন বদল করা হয়। পাঁচ মিনিট আগে বলা হয় সামনের সারিতে তার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি সেখানেই বসেছেন, যেখানে তার জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আগেই সিধু তার পাকিস্তান সফরের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক সফর নয়। তিনি নিছকই একজন পুরনো বন্ধুর আমন্ত্রণে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদিও আচমকা পাকিস্তানে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তাকে নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি।’

তিনি জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি বাসে চেপে লাহোর যেতে পারেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাউকে কিছু না জানিয়ে পাকিস্তান গিয়ে নওয়াজ শরিফকে আলিঙ্গন করে আসতে পারেন। তখন তো কারোর সাহস হয় না মোদিকে প্রশ্ন করার।

এমবিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন