টাক মাথায় চুল বসাতে গিয়ে অভিনেতার এ কী হাল
টাকে চুল গজানোর বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন টাক মাথায় চুল বসাতে। কিন্তু ফিরেছেন চুল নিয়ে নয়, দগদগে ঘা নিয়ে। চিকিৎসা চলাকালীন টানা ১৫ দিন অজ্ঞান থাকার পর এ হাল হয়েছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী পাকিস্তানের বিখ্যাত অভিনেতা সৈয়দ সাজিদ হাসান।
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে গিয়ে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা পাক অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন একাধিক ভিডিও বার্তায়। এর পরপরই সেইসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ভিডিও বার্তায় সাজিদ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর আগে এক চিকিৎসকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। সাজিদের কথায়, ওই চিকিৎসক কার্যত গায়ে পড়েই বন্ধুত্ব করেন। ধীরে ধীরে দুজনের কিছুটা ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। কিন্তু এই বন্ধুত্ব পর্বে গল্পগুজবের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই ওই চিকিৎসক তাকে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু তিনি খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তবে ভেতরে ভেতরে টাক নিয় কিছুটা যে হীনমন্যতা ছিল, সে কথা স্বীকার করেছেন পাক অভিনেতা। আর সেই কারণেই এক সময় ওই চিকিৎসকের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে রাজি হন।
তারপরই শুরু হয় অগ্নিপরীক্ষা। পাক অভিনেতা ভিডিওতে বলেছেন, কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই শুরু হয় ‘অপারেশন’। মাথায় খোঁচানোর জেরে ঘা হয়ে যায়। আর তার অভিঘাতে অন্যান্য বহু শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। ব্যথা আর শারীরিক কষ্টে এক সময় সংজ্ঞা হারান তিনি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন ১৫ দিন! জ্ঞান ফেরার পর আর সেখানে থাকেননি। এখন অন্য জায়গায় মাথায় ক্ষতের চিকিৎসা করাচ্ছেন।
সাজিদের সাবধানবাণী-হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হলে আগে সেই প্রতিষ্ঠান বা চিকিৎসকের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এত কিছুর পরও চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করেননি সাজিদ আহমেদ।
সূত্র: আনন্দবাজার
এসআর