মহাত্মা গান্ধী বেঁচে থাকলে তাকেও গ্রেফতার করত মোদি সরকার
ভারতে বুদ্ধিজীবীদের ধরপাকড় চলছে। এ নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সব মহলে। এবার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। তার মতে এই সময় যদি মহাত্মা গান্ধী বেঁচে থাকতেন, তবে তাকেও গ্রেফতার করত নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজকে গৃহবন্দী করে রাখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রামচন্দ্র গুহ। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, মহাত্মা গান্ধীকেও ছাড়ত না বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। তাকেও সমাজকর্মী ও মাওবাদী ঘনিষ্ঠ বলে আদালতে নিয়ে যাওয়া হত।
মহাত্মা গান্ধীর জীবনীকার রামচন্দ্র গুহ বলেন, সুধা ভরদ্বাজের এই পরিস্থিতি দেখলে ফের আইনজীবীর পোশাক পড়তেন মহাত্মা গান্ধী। আদালতে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। দেশে ভয়াবহ অচলাবস্থা চলছে বলে এই পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করেছেন এই প্রবীণ ইতিহাসবিদ।
মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকজন নামকরা বামপন্থী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার বামপন্থী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এদের যোগসাজশ পাওয়া গেছে। দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, রাঁচী থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু জায়গায় পুলিশি অভিযান চালানো হয়।
মাওবাদীদের সমব্যথী বলে পরিচিত কবি ভারভারা রাওকে হায়দরাবাদ থেকে এবং শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএলের) প্রধান সুধা ভরদ্বাজকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রাবন্ধিক ও মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অরুণ ফেরেরা ও ভেনন গঞ্জালভেজকে মহারাষ্ট্র্রের থানে ও মুম্বাই থেকে আটক করা হয়েছে।
সুধা ভরদ্বাজকে প্রথমে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার বাড়ি হরিয়ানার বাদারপুরেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুরজকুণ্ড থানার পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। আদালতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।
টিটিএন/পিআর