ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

নিজ দেশেই অবরুদ্ধ ইরানিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৮

নিজ দেশেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ইরানিরা। বৃহস্পতিবার দু'টি বিমান সংস্থা তেহরানে তাদের ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে এ সংকট তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও এয়ার ফ্রান্স জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে তারা দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। আর এতেই সংকটে পড়েছেন ইরানিরা।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা লন্ডন-তেহরান ফ্লাইট বাতিল করছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, তারা বাণিজ্যিকভাবে তেমন লাভবান হচ্ছেন না। লন্ডন-তেহরান সর্বশেষ ফ্লাইট যাবে ২২ সেপ্টেম্বর এবং তেহরান থেকে লন্ডনে সর্বশেষ ফ্লাইট ফিরবে ২৩ সেপ্টেম্বর।

এয়ার ফ্রান্স প্যারিস-তেহরান রুটে ফ্লাইট বাতিল করছে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই রুটে যাত্রী পরিবহন কম থাকায় তারা ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সংস্থাটি প্যারিস-তেহরান ফ্লাইট সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে। আগে সংস্থাটি সপ্তাহে দেশটিতে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করলেও এখন করছে একটি। এর আগে একই কারণ দেখিয়ে গতমাসে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ডাচ এয়ারলাইন কেএলএম।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়েদিনেজাদ। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, এই রুটের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ফ্লাইট বাতেলের এই সিদ্ধান্ত দুঃখজনক।

ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর তা হুমকির মুখে পড়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেষ্টা করেছিল চুক্তিটি কার্যকর রাখতে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ফলে আগস্ট মাস থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হয়। আগামী নভেম্বরে আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে ইরানের বিরুদ্ধে।

এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আনেন। তার ওই নিষেধাজ্ঞার পর পরই ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই একই পথে হাঁটছে। পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরানিরা যেসব সুযোগ -সুবিধা পেতেন তাও হারাচ্ছেন তারা। ভিসা জটিলতাসহ যে সব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল সেগুলো আবারও আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইরানিদের সংকটে পড়তে হচ্ছে, একই সঙ্গে তাদের অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় করতে হচ্ছে।

ইরানের অন্যতম বৃহৎ ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা মাজিদ নেজাদ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইরানিদের বুকিং অর্ধেকে নেমে এসেছে। নেজাদ বলেন, দেশের ভেতরে ইরানিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে সরকারের অব্যবস্থাপণায় তারা হতাশ।

তিনি বলেন, লোকজন অন্যদেশে যাওয়ার বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন। কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার মতো অর্থ নেই। তিনি বলেন, তেহরানের এক বাসিন্দা সেপ্টেম্বরে তুরস্কে ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফ্লাইটের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তিনি তা বাতিল করেন।

তিনি বলেন, আমরা সংকটে রয়েছি কারণ লোকজন সরকারকে বিশ্বাস করছে না। আর এই সমস্যা ইরানের মধ্যবিত্তদের নিজেদের দেশেই অবরুদ্ধ করে রাখার মতো অনুভূত হচ্ছে।

এসআর/টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন