সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় সামিটের আজিজ
মার্কিন প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের শীর্ষ এই ধনীর তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের নাম।
মার্কিন এই সাময়িকী বলছে, চলতি বছরের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ টাইকুনের সম্পদের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর তাদের সম্পদের পরিমাণ ১০৪.৬ বিলিয়ন থাকলেও চলতি বছরে তা বেড়ে ১১৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এবার নতুন করে ঢুকে পড়েছে তিন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। এরমধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান রয়েছেন।
আরও পড়ুন : পানামা পেপারস ফাঁসের নথিতে ৩২ বাংলাদেশি
ফোর্বসের প্রতিবেদন বলছে, সামিটের এই চেয়ারম্যান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় ৩৪ নম্বরে রয়েছেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৬৯১ কোটি ৯ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা (৯১ কোটি মার্কিন ডলার)।
বাংলাদেশি এই ধনকুবের সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালকে সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে (এসজিএক্স) তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে ফোর্বস। বিদ্যুৎ, পরিবহন বা ইন্টারনেট অবকাঠামোর অংশীদার হওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সামিটকে একটি আঞ্চলিক কোম্পানি হিসেবে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের বেসরকারি এই কোম্পানির বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি বন্দর, শিপিং, কার্গো হ্যান্ডলিং ও তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে সামিটের।
দুই বছর আগে কর ফাঁকির ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন তথ্য ফাঁস করে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট’ (আইসিআইজে)। বিশ্বজুড়ে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পাওয়া ওই তালিকায় ৩২ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ২ কোম্পানির নাম আসে।
ওই তালিকায় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারে নাম অাসে। তবে কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আজিজ খান ও তার পরিবার জড়িত নয় বলে সে সময় জানানো হয়। আজিজ খান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ফারুক খানের ভাই। ফারুক খান ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
এসআইএস/আরআইপি