গাজনির বেশির ভাগই তালেবানের দখলে, বহু হতাহত
আফগানিস্তানের গাজনি শহরে তৃতীয়দিনের মতো সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেখানের তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ গাজনির স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। সেখানকার বাসিন্দারা এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে আকস্মিক হামলা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এখন পর্যন্ত তালেবানরা শহরের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর দাবি শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে।
গাজনির সাংসদ ছামান শাহ এহতেমাদি বলেন, শুধুমাত্র সরকারি অফিস, পুলিশের সদর দপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ভবন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু সেগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে তালেবানরা।
প্রাদেশিক কাউন্সিলের সদস্য নাসির আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র পুলিশ এবং আফগান গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেনাবাহিনী তাদের কোন সহায়তা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।
তবে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সেনাবাহিনী সেখানে তালেবানের সদস্যদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য শহরে পৌঁছে গেছে।
আফগান সেনাবাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ শরীফ ইয়াফতালি রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, শহর ধ্বংস হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। তালেবানকে শহর থেকে হটিয়ে দিতে তীব্র লড়াই চলছে।
কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কৌশলগত স্থান এবং শহরের কেন্দ্রগুলো আফগান সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে এবং তালেবান জঙ্গিরা বিভিন্ন লোকজনের বাড়ি-ঘর, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে আছে।
মার্কিন সেনা সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার মার্কিন বিমান থেকে কমপক্ষে চারবার হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া শনিবার আরও পাঁচবার হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সব কিছু শেষ, শহর দখল হয়ে গেছে।
এখনও পর্যন্ত গাজনি শহরে হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হাসপাতালের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় ওয়ান টিভির খবরে জানানো হয়েছে, এসব হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯০ সদস্য এবং ১৩ বেসামরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ। তালেবানের বহু সদস্যও নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম