ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৮

সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দেবে মস্কো। খবর ডেইলি সাবাহ।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর রুশ প্রধানমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে রুশ নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কার্যক্রমের ওপরও ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর ফলে এসব ব্যাংক কর্তৃক ডলার ব্যবহারের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। মেদভেদেভ বলেন, রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ রেড লাইন অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন, ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং মুদ্রা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘোষণা অর্থনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। তিনি বলেন, এটা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রয়োজনে অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। আমাদের মার্কিন বন্ধুদের এ বিষয়টি অবশ্যই বুঝতে হবে।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সাবেক রুশ এজেন্ট এবং তার মেয়ের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত মার্চে সাবেক রুশ এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়াকে সালিসবারি শহরের একটি বেঞ্চে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জানা যায় যে, তাদের ওপর রাসায়নিক নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার কয়েক সপ্তাহ পর তারা সুস্থ হতে শুরু করেন।

ব্রিটেনের এক তদন্তে ওই রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে। তবে এ ধরনের অভিযোগে কঠোরভাবে বিরোধীতা করেছে ক্রেমলিন। তাদের দাবি ওই হামলার সঙ্গে রাশিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। তবে বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, রাশিয়াই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নওয়ের্ট এক বিবৃতিতে বলেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে দেশটি রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। অথবা, তারা নিজেদের দেশের নাগরিকদের ওপর লিথাল রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন