ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে তালেবানের হামলায় শতাধিক হতাহতের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৮

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গাজনি শহরে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী। হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনী ওই এলাকা থেকে জঙ্গিদের হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে তালেবানের হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ২টায় তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল বন্দুকযুদ্ধে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। গাজনি শহরের বেশ কিছু দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

দালেবান যোদ্ধারা শহরের আবাসিক এলাকায় লুকিয়ে থেকে আফগান সেনাদের ওপর হামলা চালায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা শহরের কিছু অংশ দখল করে নেয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আফগান বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে। পরে জঙ্গিদের হটিয়ে ওই এলাকা মুক্ত করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী।

দু'পক্ষের লড়াইয়ের পর পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। কিভাবে তালেবান ওই শহরটির এত গভীরে অনুপ্রবেশ করলো তা জানার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই শহরটি রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

গাজনি শহরের হাসপাতালের প্রশাসক বাজ মোহাম্মদ হেমাত বলেন, তালেবানের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ সদস্য নিহত এবং আরও ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দু'জন বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়েছে। তবে বন্দুক যুদ্ধের পর পুরো শহর স্তব্ধ হয়ে গেছে। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে পারছে না এবং অ্যাম্বুলেন্সও বাইরে পাঠানো হচ্ছে না।

প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান ফরিদ আহমেদ মাসাল জানিয়েছেন, হামলায় ১২ পুলিশ আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি। তিনি বলেছেন, হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই তালেবানের সদস্য।

পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, তালেবানকে ওই এলাকা থেকে হটিয়ে দেয়ার পর বেশ কয়েকজন তালেবান সদস্যের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তালেবানের ৩৯ জন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিস জানিয়েছেন, তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশকে সহায়তা করেছে সেনাবাহিনী। শহর এখন সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন