গোপনে ৩৪ নারীর গোসলের দৃশ্য ভিডিও করে ধরা
গেস্ট হাউসে শ্যাম্পুর বোতলে গোপন ক্যামেরা রেখে নারীদের গোসলের দৃশ্য ধারণ করাই ছিল নেশা। বিভিন্ন পর্ন সাইটে নারীদের গোসলের সেই দৃশ্য শেয়ার করতেন, সঙ্গে জুড়ে দিতেন ভিডিওর বর্ণনা।
এ ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের হকে বে দ্বীপের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, শ্যাম্পুর বোতলে লুকিয়ে রাখা ক্যামেরায় গেস্ট হাউসে আসা অন্তত ৩৪ নারীর গোসলের দৃশ্য রেকর্ড করেছেন তিনি।
স্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সব গোপন ভিডিও ধারণ করেন বলে স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ভিডিওগুলো একটি পর্ন সাইটে পোস্ট করার কথা জানিয়েছেন; কিছু ভিডিওর বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।
যে নারীদের ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। ক্যামেরা এমনভাবে উপরের দিকে রাখা ছিল, যাতে নারীদের কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত ধরা পড়েছে। তবে মাঝে মাঝে মুখও দেখা গেছে ভিডিওতে।
তবে লুকিয়ে শ্যাম্পুর বোতল অনলাইন থেকে কিনেছিলেন না-কি বাড়িতে তৈরি করেছিলেন সেব্যাপারে জানা যায়নি। ওই গেস্ট হাউসে একরাত থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত যে নারীরা ছিলেন পুলিশ তাদের খুঁজে বের করেছে। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তির এমন অপকর্ম জানার পর ওই নারীরা আতঙ্ক, লজ্জা, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়; তখন তিনি পুলিশকে বলেন, তিনি রোমাঞ্চিত হওয়ার জন্য এ কাজ করেছেন এবং ধরা পড়ার ঝুঁকির ব্যাপারে চিন্তা করেছিলেন।
হ্যাস্টিংস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বলছে, নারীরা যখন গোসলের জন্য ঝরনা ছেড়ে দিতেন ঠিক তখনই রিমোটের সাহায্যে ক্যামেরা চালু করতেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে রাতে শ্যাম্পুর বোতল সেখান থেকে নামিয়ে আনার পর কম্পিউটারে ভিডিও ডাউনলোড করতেন।
একটি পর্ন সাইটে ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি; একই সঙ্গে আরো ভিডিওধারণ করতে নিজে যাতে উৎসাহ পান সেজন্য দর্শকদের কাছে ইতিবাচক কমেন্ট করার আহ্বান জানাতেন।
তবে পরবর্তীতে এসব ভিডিও অনলাইন থেকে মুছে দিয়েছে নিউজ্যিল্যান্ড পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ অারো বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের যেকোনো একটি প্রমাণিত হলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/জেআইএম