সরকার গড়তে পারবেন ইমরান?
কাঁটা এখনো ইমরান খানের গলায় বিঁধে রয়েছে। এবারের পাক নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের (পিটিআই) প্রধান পাঁচটি কেন্দ্রে জয়ী হলেও এরমধ্যে দুটি কেন্দ্রে এখনো তাকে জয়ী ঘোষণা করেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে ইমরানের শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পাক সাধারণ নির্বাচনে আসন সংখ্যার বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। তারা জিতেছে ১১৬টি আসন। বিদায়ী ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) দখলে রয়েছে ৬৪টি আসন এবং সাবেক পাকিস্তান পিপল’স পার্টি পেয়েছে ৪৩টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে পিটিআই উঠে এলেও, ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে আরও ২১টি আসন দরকার। অর্থাৎ ইমরানকেও জোট বেঁধেই সরকার গড়তে হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে মরিয়া বিরোধীরাও। ইমরানের সরকার গড়া রুখতে বিরোধীরা একজোট হলে তারাও ম্যাজিক ফিগার পেতে পারেন বলে মনে করছেন পাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দুটি কেন্দ্রে ইমরানকে জয়ী ঘোষণা করেনি কেন নির্বাচন কমিশন? ইসলামাবাদের এনএ-৫৩ এবং লাহোরের এনএ-১৩১ কেন্দ্রে ইমরান জয়লাভ করলেও তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন কমিশন বলছে, এই দুই কেন্দ্রে ইমরানের বিরুদ্ধে নির্বাচী আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
ভোটদানের সময় বুথের ভেতরে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে ইমরানের বিরুদ্ধে। এমনকি বিভিন্ন বুথে পিটিআইয়ের ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা পিএমএল (এন) নেতা শাহিদ খোকন আব্বাসিকে প্রায় ৪০ হাজার ভোটে পরাজিত করেন ইমরান এবং অপর কেন্দ্র এনএ-১৩১এ জয়লাভ করলেও লাহোর আদালতে চলা একটি মামলার জেরে জয়ী ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।
এনএ-৩৫ (বান্নু), এনএ-৯৫( মিয়ানওয়ালি-১) এবং এনএ-২৪৩ (করাচি পূর্ব-২) কেন্দ্রে জয়লাভ করেন ৬৫ বছর বয়সী ইমরান। এই মুহূর্তে যদি ওই দুই কেন্দ্রে ফল ঘোষণা না হয় তাহলে আরও দুটি আসন জোগাড় করতে ইমরানকে বেগ পেতে হতে পারে।
আগামী ১৪ বা ১৫ অাগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার কথা রয়েছে ইমরানের। যদিও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতায় এখন আটকে রয়েছে সেটি। ইমরানের বিজয় রথ রুখে সরকার গড়ার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিরোধীরা। বাইশ গজে তার বোলিং দাপট দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রাজনৈতিক ময়দানে বিরোধীদের বাউন্সার মেরে কীভাবে সরকার গড়েন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন পাক নাগরিকরা।
এসআইএস/জেআইএম