ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

এক কলেজেই ৩০ ‘প্রেমিকা’!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৮

পুরো এক মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘প্রেম’! তাও আবার একই কলেজের ৩০ জন ছাত্রীর সঙ্গে! হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের চন্দননগর কলেজে। তবে ঘটনাটি এতদিন চাপা ছিল। মঙ্গলবার এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। 

ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার চন্দননগর বাসস্ট্যান্ডে এক প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যান ওই যুবক। তবে ওইদিন মনে হয় তার ভাগ্য সহায় ছিল না। এ সময় বাসস্ট্যান্ডে অন্য প্রেমিকারাও আচমকা হাজির। কী আর করা! এক প্রেমিকের সাথে তো আর ৩০ জনের প্রেম হতে পারে না। অগত্যা প্রেমিকারা প্রেমিককে তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। তবে এফআইআর না-হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

তবে প্রেমিককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে গিয়ে কেঁদেছে কিছু প্রেমিকার মন। এ সময় কোনো কোনো প্রেমিকার চোখে ছিল জল। হাজার হোক প্রেমিক তো! তবে এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন অন্যান্য প্রেমিকারা। তাদের কেউ ছিলেন ক্ষুব্ধ, কারও মুখ থমথমে।

বাইশ বছরের যুবকটি পুরশুড়ার বাসিন্দা। কয়েক মাস ধরে রয়েছেন মুম্বইয়ে। সেখানে একটি বেসরকারি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ছেন। সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন। ‘প্রেমিকা'রা চন্দননগরের একটি কলেজের ছাত্রী। কেউ প্রথম বর্ষ, কেউ তৃতীয়। যুবকের প্রেম-পর্বের যাত্রা শুরু মুম্বাই থেকেই।

ফেসবুকে এক নারীর নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ওই যুবক। চন্দননগরের ওই কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে সেখানেই আলাপ। সেই সূত্র ধরে যুবকের পরিচয় হয় ছাত্রীর ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’দের সাথে। দ্রুত আলাপ জমে ওঠে তাদের সঙ্গেও। একে একে যুবকের ‘প্রেমিকা’র সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০-এ।

যুবকের শেষ ‘প্রেমিকা’ ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তাকে বিয়ে করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ওই যুবক। দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। কথামতো মঙ্গলবার বিকেলে চন্দননগর স্টেশন ওই ছাত্রীর সাথে দেখা করতে আসেন যুবক।

যুবকটি ‘প্রেমিকা’কে অন্য কাউকে সঙ্গে আনতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু ‘প্রেমিকা’ সেই নিষেধ মানেননি। ওই প্রেমিকা সঙ্গে কলেজের আরও পাঁচ বান্ধবীকে নিয়ে স্টেশনে হাজির হন- যারা যুবকের ‘প্রেমিকা’ও। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের দেখা ছবির সঙ্গে যুবকের মুখ মিলে যায়। খুলে যায় প্রেমিকের মুখোশ।

তবে, স্টেশনে যুবককে কেউ কিছু বলেননি। সকলে খাওয়ার আবদার করে যুবককে নিয়ে যান স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে। এরপর সোজা থানায়। যুবকের শেষ প্রেমিকার ক্ষোভ, ‘ও আমায় ঠকাল। আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। ও বিয়ে করবে বলেছিল। তাই দেখা করতে রাজি হই। বাবা-মায়ের সঙ্গেও ওকে কথা বলতে বলেছিলাম।’ আরেক প্রেমিকা বলেন, ‘ও ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে কথা বলতে চাইত না। দু’এক দিন ফেসবুকে কথা বলেই হোয়াটসঅ্যাপে চলে যায়।’

এত কাণ্ডের পরেও যুবক নির্লিপ্ত। তার একটাই আফসোস, ‘দেখা করতে এসেই ফেঁসে গেলাম।’ তার বাবা বলছেন, ‘জমি বিক্রি করে ছেলেটাকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। মোবাইলে কী করেছে, কী করে বুঝব!’

এসআর/আরআইপি

আরও পড়ুন