এইডস মহামারীর ঝুঁকিতে আফ্রিকা
এইডস আক্রান্তের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ অফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতী এই রোগে নতুন করে আক্রান্ত তরুণের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে চালানো জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে চলমান ২২তম আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলনে গবেষক এবং সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আফ্রিকা অঞ্চলের এইডস চিত্র উপস্থাপন করেছেন। সাব-সাহারা অঞ্চলে এইচআইভির প্রকোপ মোকাবেলায় আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
ওই অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠী এইডস আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে; এমনকি নতুন করে যারা এইডস আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশ তরুণ বলে ইউনিসেফের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, আফ্রিকান কয়েকটি দেশে এইচআইভি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কর্মসূচি বাড়ানো হলে নাটকীয়ভাবে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসতে পারে।
আরও পড়ুন : এইডস মানেই মৃত্যু নয়
বুধবার এইডস সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল এইডস স্যোসাইটির প্রেসিডেন্ট লিন্ডা-গাইল বেক্কার বলেছেন, অসাধারণ অগ্রগতি সত্ত্বেও আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবন এইচআইভির মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের উপস্থাপিত তথ্য ওই অঞ্চলে এইডসের প্রকোপ ঠেকাতে ও চিকিৎসা খাতে জরুরি বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ এবং সুযোগ তৈরির বিষয়টিকে সামনে এনেছে। এটি করা হলে আফ্রিকা এইডসের মহামারী থেকে রক্ষা পেতে পারে।
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে এইডস
ইউনিসেফের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলে নতুন করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী অন্তত ৯ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠী এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এদের দুই-তৃতীয়াংশই হবেন কিশোরী অথবা তরুণী।
তরুণ জনগোষ্ঠীর মাঝে এইচআইভি আক্রান্তের চলমান ধারায় বোঝা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন-২০১৮ উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫ হাজারের বেশি প্রতিনিধি এই মুহূর্তে আমস্টারডামে অবস্থান করছেন। সোমবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে আগামী শুক্রবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত।
এসআইএস/এমএস