মোদির জনসভায় অাহত ৬২
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মেদিনীপুরে এক জনসভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দেয়ার সময় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে অন্তত ৬২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার মেদিনীপুরের কলেজিয়েট মাঠে কৃষক কল্যাণ সমাবেশের মোদির বক্তৃতা দেয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোদির বক্তৃতার সময় ভেঙে পড়ে সভাস্থলের প্যান্ডেলের একাংশ। তার নিচে চাপা পড়ে গুরুতর জখম হন অন্তত ৬২ জন। এ ঘটনার পর আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারের পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সভা শেষে আহতদের দেখতে সেখানে যান মোদি।
মেদিনীপুরের কৃষক কল্যাণ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সোমবার দুপুর ১টার দিকে মোদি যখন মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন, সেই সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনার জন্য রাজ্য বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
আরও পড়ুন : বামফ্রন্টের চেয়ে তৃণমূল বেশি খারাপ : মোদি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্য সরকার আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করবে।
কলেজিয়েট মাঠে মোদির সভাস্থলে মূল মঞ্চ ছাড়াও তিনটি আলাদা প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। একটি মূল মঞ্চের সামনের দিকে। অন্য দু’টি তার ডান এবং বাম দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল শহরে। মাটি নরম ছিল। প্যান্ডেলের ভারি লোহার কাঠামো আস্তে আস্তে সেই নরম মাটিতে ঢুকে যায়।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতে একদল অতি উৎসাহী জনতা ওই লোহার কাঠামোতে চড়তে শুরু করেন। এতে প্যান্ডেলের কাঠামো আরও ঢুকে যায়। এরপর টাল সামলাতে না পেরে মূল মঞ্চের বামদিকের প্যান্ডেলের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়েন বহু মানুষ। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন অনেকে।
আরও পড়ুন : ভারত ঘুরতে ফ্রি ভিসার ঘোষণা মোদির
এসময় প্যান্ডেল ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্যও অনেকেই দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। আতঙ্কে জুতা-চেয়ার ফেলে যে যার মতো করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন।
সঙ্গে সঙ্গে ভাষণ থামিয়ে দেন মোদি। অন্য প্যান্ডেলগুলোতে যারা চড়ে বসেছিলেন, তাদের নেমে আসার অনুরোধ করেন। প্রায় তিন মিনিট পর ফের ভাষণ শুরু করেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে মেদিনীপুর থেকে কলাইকুন্ডা হয়ে বিমানে দিল্লি ফেরার কথা ছিল মোদির। কলাইকুন্ডা যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আহতদের দেখতে যান। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা রোগীদের অনেকের মাথাতেই হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যায় তাকে।
এসআইএস/এমএস