নীল জলরাশিতে মডেলকে টেনে নিয়ে গেল হাঙ্গর!
বাহামা দ্বীপপুঞ্জের এক্সুমা দ্বীপের নীল জলরাশিতে নেমে সাঁতার কাটার সময় হাঙ্গরের হামলার শিকার হয়েছেন মার্কিন এক ইন্সটাগ্রাম মডেল। দ্বীপের নীল জলে হাঙ্গরের ঝাঁক পরিষ্কার দেখা যায়; তবুও সাহস করে সেখানে সাঁতার কাটতে নেমে পড়েন তিনি। আর এতে ঘটে যায় বিপত্তি। দু’হাত প্রসারিত করে যখন সাঁতার কাটতে যান তিনি; ঠিক তখনই তার বাম হাতে কামড় বসিয়ে দেয় একটি হাঙ্গর।
এনবিসি নিউজ বলছে, ১৯ বছর বয়সী ওই মডেলের নাম ক্যাটারিনা জ্যারুসকি। প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাহামার এক্সুমা দ্বীপে অবসর কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। বাহামার এই দ্বীপে হাঙ্গরের ঝাঁকের সঙ্গে সাঁতার কাটা নিরাপদ এবং মজার বলে শোনার পর সেখানে যান ক্যাটারিনা।
ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামির শিক্ষার্থী ক্যাটারিনা বলেন, আমি যখন হাঙ্গরের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলাম, তখন আমার প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত ছিলেন। আমি মনে করেছিলাম, এতে কোনো সমস্যা হবে না।
ছবির জন্য কয়েক মিনিট পোজ দেয়ার পর তাকে কেউ একজন উল্টো হয়ে পানির ওপর ভেসে সাঁতার কাটতে উৎসাহ দেন। আমি সাঁতার কাটতে শুরু করার পর তারা ছবি তুলতে থাকে। তার প্রেমিকের বাবা একটি ছবি ধারণ করেন; যা রীতিমত ভীতিকর। এতে দেখা পাঁচ ফুট লম্বা একটি হাঙ্গর তার বাম হাতে কামড় বসিয়ে নিচে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
ওই মডেল বলেন, ‘আমার হাতে কামড় বসিয়ে নিচের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। আমি কয়েক সেকেন্ডর মতো পানির নিচে ছিলাম। পরে ঝাকুনি দিয়ে হাঙ্গরের মুখ থেকে হাত বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হই।’ পরের ছবিতে দেখা যায়, পানিতে রক্তপাত ঠেকাতে হাত ওপরের দিকে ধরে উঠে আসছেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে চিকিৎসা নিয়েছেন ক্যাটারিনা। তিনি বলেন, এটার জন্য আমার অনুশোচনা নেই। আমি আবার সেখানে সাঁতার কাটতে যাবো। তবে এবার আমার উদ্দেশ্য হবে সচেতনতা তৈরি করা।
‘হাঙ্গর অত্যন্ত বিস্ময়কর এবং সুন্দর প্রাণী। তবে তাদের আবাসস্থলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখানো প্রয়োজন।’
এসআইএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার