গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরের নিউমোনিয়ার শঙ্কা
থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহা থেকে দু’সপ্তাহ ধরে আটকা থাকার পর উদ্ধার হওয়া দুই কিশোর ফুসফুসজনিত সমস্যায় ভুগছে। মেডিকেল টিম ধারণা করছে, তারা সম্ভবত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
দেশটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব জেসাদা চোকদামরংসোক মঙ্গলবার চিয়াং রাই প্রাচানুকরক হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ছেন। গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া আট কিশোরকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেসাদা জানান, উদ্ধার হওয়া আটক কিশোরের শারীরিক অবস্থা এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। রোববার উদ্ধার হওয়া চার কিশোরের সঙ্গে হাসপাতালে তাদের অভিভাবকরা দেখা করেছেন। আটজনের স্বাস্থ্যই ভালো আছে। কোনো জ্বর নেই। তারা মানসিকভাবেও বেশ ভালো আছে। প্রথম উদ্ধার হওয়া চার কিশোর এখন উঠে বসতে পারছে এবং বেডের আশেপাশে পায়চারি করতে পারছে।
জেসেদা বলেন, ‘তাদের শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কম। কারণ, ঠাণ্ডা পানির মধ্যে দিয়ে তাদের ডুব সাঁতার দিয়ে আসতে হয়েছে। তাদের সুস্থ করতে প্রতিষেধক টিকা ও স্যালাইন দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নরম খাবার খাওয়ার পর তারা এখন স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছে।’ তবে গুহায় আটকা থাকা নিয়ে তারা এখনও কিছু জানায়নি বলে তিনি জানান।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা এখন সবাই নিরাপদ। তবে দীর্ঘদিন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকা এবং দীর্ঘ পথ ডুব সাঁতার দিয়ে আসায় তাদের শরীরে এর প্রভাব রয়েছে। হাসপাতালে তাদের আরও এক সপ্তাহ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২৩ জুন গুহা পরিদর্শন করতে গিয়ে আটকা পড়েন ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ গুহায় আটকা থাকার পর রোববার প্রথম চারজনকে ও পরের দিন আরও চারজনকে উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করা হবে। গুহায় থাকাকালীন কিশোররা কোনো জীব-জন্তুর সম্মুখিন হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উদ্ধার হওয়ার পর কিশোরদের একজনের ফুসফুসে প্রদাহ দেখা দেয়। আরেকজনের হার্টবিট কম দেখা যায়। তবে এখন তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া কিশোরদের আরও কোনো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নমুনা ব্যাংককের একটি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া, সিএনএন
এসআর/টিটিএন/পিআর