থাই গুহা : কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে আসছে আরো ৪ কিশোর
থাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহায় আটকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও কোচকে উদ্ধার অভিযানের প্রথম দফায় তিন কিশোরকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের থ্যাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় তাদের। পরে দ্রুত সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগে মং জেলার চিয়াংরাই প্রাচ্যানুকরোহ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
প্রথম দফায় তিনজনকে উদ্ধারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার মিশনের কর্মকর্তা লে. জেনারেল কংচিপ ট্যানট্রাওয়ানিত। তিনি বলেছেন, দুর্বল কিশোরদের প্রথম দফায় উদ্ধার করা হয়েছে। শিগগিরই অারো চারজনকে গুহা থেকে বের করে আনা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, ওই চার কিশোরকে নিয়ে গুহার ভেতরের বেইজ ক্যাম্পে চলে এসেছেন ডুবুরিরা। বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, চ্যাম্বার-৩ এ পৌঁছেছেন আরো চার কিশোর। শিগগিরই গুহা থেকে বেরিয়ে আসবেন তারা।
বিবিসির ড্যান জনসন বলেছেন, গুহা এলাকা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ জেলার প্রধান হাসপাতাল। কিশোরদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ১৩ বিদেশি ডুবুরি ও থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর অভিজাত শাখা থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্য এই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
এর আগে, থাই টেলিভিশন চ্যানেল স্প্রিং নিউজ বলছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে প্রথম কিশোরকে গুহা থেকে বের করে আনার পর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে ৫টা ৫০ মিনিটে দ্বিতীয় কিশোরকে নিয়ে আসেন উদ্ধারকারীরা। এর ১৬ মিনিট পর তৃতীয় কিশোরকেও গুহার ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুহায় ১৮ সদস্যের উদ্ধারকারী দলে থাকা চিকিৎসকরা শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রথম কাকে বের করে আনা হবে সেটি নির্ধারণ করেন।
উদ্ধার মিশনের যৌথ কমান্ড সেন্টারের প্রধান ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্যসহ বিদেশি ১৩ ডুবুরি সকাল ১০টায় গুহায় প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ১০ জন চেম্বার-৯ (যেখানে কিশোররা আটকা আছেন) ও মাঝপথে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত চেম্বার-৬ এর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। অন্য তিন ডুবুরি অভিযানে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়।
এছাড়াও থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং ইউরোপ থেকে অংশ নেয়া ডুবুরিদের অপর একটি দল গুহার প্রবেশপথ চেম্বার-৩ এ অবস্থান করছেন। চেম্বার-২ এবং চেম্বার-৩ এর মাঝে সংকীর্ণ ও উঁচু-নিচু জলমগ্ন পথে রশি বসিয়ে সহায়তা করছে এই দল।
দীর্ঘ প্রায় ৪ কিলোমিটার সংকীর্ণ ও উঁচু-নিচু জলমগ্ন পথ পাড়ি দিয়ে এই কিশোররা শেষ পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারবে কি-না সেটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আন্তর্জাতিক গুহা বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, ব্যাংকক পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান।
এসআইএস/আরআইপি