ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

থাই গুহায় আটকা কিশোরদের উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ০৮ জুলাই ২০১৮

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকা কিশোর দল এবং তাদের কোচকে উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়েছে। দু’সপ্তাহ ধরে গুহায় আটকে আছেন তারা। গত ২৩ জুন গুহাটি দেখতে গিয়ে আটকে পড়ে ওই কিশোররা এবং তাদের কোচ। তাদের নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১০ দিন পর প্রথম ওই শিশুদের খুঁজে পেয়েছিল ব্রিটিশ ডুবুরিরা।

গুহার মুখ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভেতরে একটি ছোট্ট চেম্বারে তাদের পাওয়া যায়। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক আর থাইল্যান্ডের ডুবুরিরা তাদের নিয়মিত খাবার, অক্সিজেন আর চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করে আসছে। তাদের খোঁজ পাওয়ার পর জানানো হয়েছিল গুহার চারপাশের পরিবেশ এবং বন্যার পানির কারণে তাদের উদ্ধার করতে চারমাসের মতো সময় লাগতে পারে।

পানি, আবহাওয়া আর শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই শিশুদের উদ্ধারে সামনের তিন-চারদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এরপরে আবার বৃষ্টিপাত শুরু হলে সেটি গুহার ভেতরে পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিতে পারে। গুহার ভেতরে শিশুদের আর উদ্ধার কর্মীদের শ্বাসপ্রশ্বাসের কারণে সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও বাড়ছে।

সামনের সপ্তাহগুলোতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে আবারো বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ার হুমকি রয়েছে। তাই ওই কিশোর দলটি এবং তাদের কোচকে নিরাপদে বের করে আনার জন্য ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকর্মীরা।

অভিযানের প্রধান নারোংসাক ওসোত্তানাকর্ন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় গুহায় প্রবেশ করে উদ্ধারকারী দল। গুহার প্রবেশমুখ থেকে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় স্টাফদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে এখন শুধুমাত্র ডুবুরি দল, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়েছে।

এই উদ্ধার অভিযানে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। ইতোমধ্যেই উদ্ধার অভিযানের কথা ওই কিশোর দল এবং তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। নারোংসাক ওসোত্তানাকর্ন জানিয়েছেন, গুহায় আটকা পড়া কিশোররা এবং তাদের কোচ শারীরিক এবং মানসিকভাবে যথেষ্ঠ ভালো আছেন। সেখান থেকে বের হওয়ার বিষয়ে তারা সংকল্পবদ্ধ এবং এটাকেই তারা জোর দিচ্ছে।

কিভাবে ওই কিশোরদের গুহা থেকে বের করা হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই অভিযানে তাদের কিছু সময় ডুব সাতার কাটতে হবে আবার যেখানে পানির উচ্চতা কম সেখানে হেঁটে আসতে হবে। এটা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, গুহার অনেক জায়গা বেশ সংকীর্ণ এবং বিপজ্জনক।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন