ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কীভাবে শান্তির বয়ান দিচ্ছেন : মক্কার মসজিদের ইমামকে প্রশ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৮

মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম আব্দুল রহমান আল-সৌদকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন এক ব্যক্তি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইয়েমেন যুদ্ধ ও কাতার সংকটে জড়িত সৌদি আরবের অবস্থান নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করছেন ওই ব্যক্তি।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভার একটি মসজিদে তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এক শোতা তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি ইয়েমেন এবং কাতারের ভাইদের অভুক্ত ও একঘরে করে রেখে কীভাবে আমাদের শান্তির বার্তা দিচ্ছেন।

সৃষ্টিকর্তা আপনার সহায় হোন বলে প্রশ্ন শুরু করেন ওই শ্রোতা। নিরাপত্তা ইস্যুতে বক্তৃতা দেয়ার সময় শ্রোতাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম। এসময় আলজেরীয় এক নাগরিক আলজেরিয়া, মিসর ও তুরস্কের অভ্যুত্থানে মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদের ইমামের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে আল-সৌদকে ‘মিথ্যার প্রচারক’ বলে মন্তব্য করেন। তার এই প্রশ্ন-উত্তর পর্ব দ্রুত সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়; যা পরে ভাইরাল হয়।

তবে সৌদি এই ইমাম এর আগেও এ ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরে গিয়ে আব্দুল রহমান আল-সৌদ ‘বিশ্বে শান্তি ছড়াচ্ছে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্র’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন।

সৌদির টেলিভিশন চ্যানেল আল-আখবারিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবনিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বকে পরিচালিত করছে। নিরাপত্তা ও বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একই ধরনের বোঝাপড়ায় পৌঁছানো এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা উচিত দুই দেশের।

সৌদি এই ইমামকে আলজেরীয় ওই নাগরিক প্রশ্ন করেন, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বিশ্ব শান্তি পরিচালনা এবং শান্তিকামী মানুষের পাশে অবস্থান নিতে পারে?

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটির নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ আব্বু মনসুর আল-হাদির সমর্থনে ইয়েমেনে বোমা হামলা চালাচ্ছে সৌদি জোট।

২০১৫ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া ওই সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ইয়েমেনি নিহত হয়েছেন। আরো হাজার হাজার মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই।

এসআইএস/এমএস

আরও পড়ুন