ভারতে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন তৃণমূলের
আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনে তৃণমূল জয় পাবে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে সেই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছে বলেও দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের।
শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় সভানেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানাার্জির নাম না করেই তার দলের শীর্ষ নেতা ও পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করেন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলাতে অপেক্ষাকৃত খারাপ ফল করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। আর সেখানে কিছুটা ভাল ফলের কারণে খানিকটা উজ্জীবিত বিরোধী শিবির বিজেপি।
আর সে কারণে সম্প্রতি সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ একটি রাজনৈতিক জনসভা করেন। সেই সভায় অমিত রাজ্যের অন্তত ২০ থেকে ২৩ টি আসন বিজেপি পাবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন। আর মমতা ব্যানার্জিকে নিজের রাজ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেন। দিল্লি অনেক দূর বলেও মমতাকে কটাক্ষ করে যান বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা।
বিজেপি সভাপতির রাজনৈতিক কটাক্ষের পাল্টা বক্তব্য কলকাতায় দলীয় কার্যালয়ে বসেই দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয়ভাবে বলা হয় অমিত শাহ যে স্বপ্ন দেখছেন তা সফল হবে না।
কিন্তু তাতেও তৃণমূলের দহন যন্ত্রণা কমছিল না। তাই একেবারে অমিত শাহ পুরুলিয়ার শিমুলিয়া ময়দান মাঠে যে রাজনৈতিক সভায় ওই দাবি করেছিলেন সেই মাঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এবার শুরু হচ্ছে বিজেপি হঠাও ও দেশ বাঁচাও আন্দোলন। আমরা এবার একজন বাঙালিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।
এই রাজ্যে মমতার বিকল্প নেই। বিজেপিরও এই রাজ্যে ঠাঁই নেই। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে লোকজন এনে বিজেপি এই পুরুলিয়ার শিমুলিয়া মাঠে সভা করেছিল। আমরা এখানে সভা করছি আমাদের কর্মী-সমর্থক ও গ্রামবাসীদের সামনে। আমাদের আটকানো যাবে না।
অমিত শাহ পুরুলিয়ার সভায় বলেছিলেন, মমতা আগে নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ সামলাক। দিল্লি এতো সহজ নয়।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ৪২ আসনের সব গুলো আসনেই তৃণমূলের জয় পাওয়ার প্রসঙ্গে এবং বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার ভাষায়, দেশের ৫৫৬ টি আসনের মধ্যে ৪২ আসনে জয় পেলেই কি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়?
টিটিএন/পিআর