বুখারি হত্যার ছক হয়েছিল পাকিস্তানে : দাবি কাশ্মির পুলিশের
রাইজিং কাশ্মির পত্রিকার সম্পাদক সুজাত বুখারিকে হত্যার ছক হয়েছিল পাকিস্তানে বলে দাবি করেছে জম্মু ও কাশ্মির পুলিশ।
ঘটনার তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের নির্দেশেই জঙ্গিরা বুখারিকে গুলি করে হত্যা। এর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও জমিয়তে ইসলামি নেতাদের যোগ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিষয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যাকারীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের তদন্তে বুখারি হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে উঠে এসেছে ৪৮ বছর বয়সী লস্কর জঙ্গি সজ্জদ গুলের নাম। জন্মসূত্রে কাশ্মির সজ্জদ বেঙ্গালুরু থেকে এমবিএ করেছেন। তিনি থাকেন পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের কাছ থেকে বুখারিকে হত্যার নির্দেশ পেয়ে খুনের পরিকল্পনা করে সজ্জদ। তিনি স্থানীয় জঙ্গিদের এই কাজে নিযুক্ত করে। বিভিন্ন কারণে বুখারি লস্কর জঙ্গিদের টার্গেটে ছিলেন। রমজান মাসে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরে অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বুখারি। তখনই লস্কর জঙ্গি ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের আরও রোষানলে পড়ে যান। তদন্তে জানা গেছে, বুখারি হত্যার ছক করা হয় গত মার্চ মাসে।
এমবিএ পাস সজ্জদদের আরও কিছু টেকনিক্যাল ডিগ্রিও আছে। কয়েক বছর আগে তিনি জঙ্গি দলে ভিড়ে যান। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে তিনি অংশ নিয়েছেন। পুলিশের রেকর্ড বলছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেল ও দিল্লির তিহার জেলেও বেশ কিছুদিন কাটিয়েছেন তিনি। পরে তিনি পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যান।
বুখারিকে হত্যার আগে একটি বেনামি ব্লগে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এই ব্লগটি খোলে সজ্জদই। বুখারিসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রচারের কাজে এই ব্লগ খোলা হয়। সেখানে বুখারিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করে এই লস্কর জঙ্গি। বুখারি ছাড়াও জঙ্গিদের নিশানায় আছেন আরও বেশ কিছু সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা ও র’ এর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা।
এমবিআর/জেআইএম