ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পূর্ণাঙ্গ পরমাণু অস্ত্রমুক্তির পরই উঠবে নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ১৪ জুন ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পূর্ণাঙ্গভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত না করা পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা উঠবে না।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পম্পেও।

সংবাদ সম্মেলনে পম্পেও এ কথা বলেন যে, উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্মেলনের কয়েক দিন পরই সংবাদ সম্মেলনে এলেন পম্পেও।

নতুন সম্পর্কের অঙ্গীকার করে দুই নেতা ওই সম্মেলনে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। কোরীয় উপদ্বীপকে পূর্ণাঙ্গভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে বিষয়টিও দেশটি পুনর্ব্যক্ত করেছে ওই সম্মেলনে।

ঐতিহাসিক ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া যে সমঝোতায় পৌঁছেছে তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, উত্তর কোরিয়া কিভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হবে এবং সে পর্যায়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে, চুক্তি থেকে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, পরামাণু অস্ত্রের বিষয়টা নিয়ে যতদিন ঝামেলা না মেটে ততদিন উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের যে আসল অর্থ কী তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না।

ট্রাম্প-কিম চুক্তির বিষয়ে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে জানাতেই সেখানে গেছেন পম্পেও। একইসঙ্গে ট্রাম্প হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন সে বিষয়েও জানাবেন পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার এ মহড়া নিয়ে নাখোশ ছিল উত্তর কোরিয়া।

ধাপে ধাপে কোরীয় উপদ্বীপকে পূর্ণাঙ্গভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা হবে বলে ট্রাম্প ও কিম চুক্তিতে পৌঁছেছে- উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের সত্যতাও উড়িয়ে দিয়েছেন পম্পেও।

পম্পেও বলেন, আমার মনে করি কোরীয় উপদ্বীপকে পূর্ণাঙ্গভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার আশু প্রয়োজনীয়তা খুব ভালোভাবে বোঝেন কিম জং-উন। তাদের খুব দ্রুতই কাজ শেষ করা উচিৎ। বিবিসি।

এনএফ/আরআইপি

আরও পড়ুন