মোদিকে ভোট দেবেন ৭১.৯ শতাংশ মানুষ : জরিপ
ভারতে এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশটির ৭১.৯ শতাংশ মানুষ ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দেবেন। দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) চারবছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনলাইন জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গত ২৩ থেকে ২৫ মে দেশটির প্রভাবশালী মিডিয়াগোষ্ঠী টাইমস গ্রুপের ৯টি গণমাধ্যমে একযোগে অনলাইন জরিপ চালানো হয়। ৯ ভাষায় চালানো এই জরিপে অংশ নেয় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৬ জন।
২০১৯ সালে অর্থাৎ এক বছরেরও কম সময় পর দেশটির লোকসভা নির্বাচন। জরিপে অংশ নেয়া ৭৩.৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার আবারো ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সবার পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
তবে ১৬.১ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা মোদি বা রাহুল গান্ধীকে ভোট না দিয়ে বিকল্প কাউকে বেছে নেবেন। অন্যদিকে ১১.৯৩ শতাংশ ভোটার দেশটির বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
জরিপে প্রশ্ন করা হয়, মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের এই চার বছরের সফলতাকে আপনি কীভাবে দেখবেন? দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার ‘ভালো’ এবং ‘খুব ভালো’ বলেছেন। ৪৭.৪ শতাংশ ভোটার বলেছেন মোদির শাসনামলে তারা ‘খুব ভালো’ আছেন এবং ২০.৬ শতাংশ বলেছেন, তারা ‘ভালো’ আছেন। তবে ২০.২৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা খুব খারাপ আছেন। এছাড়া এই প্রশ্নের জবাব দেননি ১১.৩৮ শতাংশ ভোটার।
গত ৪ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য ও ব্যর্থতা কী? এর জবাবে জরিপে অংশ নেয়া ৩৩.৪২ শতাংশ মানুষ পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নকে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এছাড়া সাফল্যের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নোট বাতিল ও পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত। নোট বাতিলে ২১.৯ শতাংশ এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্তকে ১৯.৮৯ শতাংশ মানুষ ক্ষমতাসীন সরকারের সাফল্য বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে, ব্যর্থতার তালিকায় রয়েছে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থার তৈরি করতে না পারা।
দেশটিতে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেয়া ৫৯.৪১ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এনডিএ সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় নেই বলে তারা মনে করেন। তবে ৩০.১ শতাংশ মানুষ বলেছেন, সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। ১০.৫৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা এই প্রশ্নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ২০১৩ সালে সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সরকারের শেষদিকে একই ধরনের জরিপ চালানো হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৩৯ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছিলেন। মাত্র ৩১ শতাংশ কংগ্রেসকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের ফলে দেখা যায়, মাত্র ৬০টি আসনে জয় পেয়েছে ইউপিএ।
সূত্র : জিনিউজ।
এসআইএস/আরআইপি