ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বাংলায় শুভসকাল প্রণাম জানালেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ২৫ মে ২০১৮

শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে বাংলায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাংলাতে সবাইকে ‘শুভসকাল’ ও ‘প্রণাম’ জানিয়ে শুরু করেন ভাষণ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে এসে অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি’

শান্তিনিকতেনর আম্রকুঞ্জে সমাবর্তনের মঞ্চে বক্তৃতা দেয়ার আগে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যা যা অসুবিধা হয়েছে, তার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।

মোদি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর পর হাত নাড়িয়ে, ‘মোদি মোদি’ শ্লোগান তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়েই এরপর শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সে সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ‘আচার্য’ নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।

আচার্য হিসেবে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পেরে প্রধানমন্ত্রী যে গর্বিত, তা তিনি নিজের ভাষণে স্পষ্ট করেছেন। জানিয়েছেন, মন্দিরে গেলে মানুষের মধ্যে যে অনুভূতি হয়, শান্তিনিকেতনে পৌঁছে ঠিক সেই রকম অনুভূতি হচ্ছে তার। কারণ, শান্তিনিকেতনে এসে তার মনে হচ্ছে, এখানেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের সাহিত্য রচনা করেছিলেন। নিজের অমর কীর্তি সৃষ্টি করেছেন।

পাশাপাশি পুরো বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যেভাবে সম্মান করা হয়, সেকথাও উঠে এসেছে মোদীর ভাষণে। তাই কবিগুরুকে একজন ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শুক্রবার সকালে মোদি সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সফরসঙ্গীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।

মোদি পৌঁছানোর পর সৌজন্য বিনিময় হয় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। উত্তরীয় পরিয়ে তাদের স্বাগত জানান বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন।

এ সফরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পাশপাশি আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডিলিট) গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে শান্তিনিকেতনে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন