সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে দেশটির সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন জিনা হাসপেল। ৯/১১ হামলার পর সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যথেষ্ঠ বিতর্ক ছিল। তবুও তাকেই সিআইএর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো।
জিনা হাসপেলকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে বিতর্কিত ওয়াটারবোর্ডিং প্রয়োগের কারণে জিনা হাসপেলের মনোনয়ন নিয়ে বেশ কয়েকজন সিনেটর বিরোধিতা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে ভোট পড়ে ৫৪টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫টি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম গোয়েন্দা সংস্থা চালানোর দায়িত্ব পেলেন কোনো নারী। জিনা হাসপেল সিআইএর উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাইক পম্পেও। তাকে নতুন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়ার পর সিআইএর পরিচালক পদ শূণ্য ছিল। বর্তমানে তার স্থলাভিষিক্ত হলেন জিনা হাসপেল।
রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন এর আগে পাঁচ বছর ভিয়েতনামের কারাগারে কাটিয়েছেন। সেখানে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করেছেন তিনি। সে কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জিনা হাসপেলকে সিআইএর পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়ায় তার বিরোধীতা করেন জন ম্যাককেইন। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দলের নীতি থেকে সরে গিয়ে জিনা হাসপালকে ভোট দিয়েছেন ছয় ডেমোক্রেট নেতা।
এদের মধ্যে একজন হলেন ভার্জিনিয়ার সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার। তিনি বলেন, হাসপেল তাকে বলেছেন যে, তাদের সংস্থা নতুন করে আর তথাকথিত ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবে না। হাসপেল আরও জানিয়েছেন যে, প্রেসিডেন্ট চাইলেও সিআইএ আর এই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করবে না।
ভোটের আগে এক বিবৃতিতে ওয়ার্নার বলেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একজন মানুষ যিনি প্রেসিডেন্টের কথার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট তাকে কোনো অবৈধ বা অনৈতিক কোনো আদেশ দিলেও তিনি সত্যি কথা বলার সাহস দেখাবেন।
টিটিএন/এমএস