ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১৪ মে ২০১৮

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুথ দখল, বোমা হামলা ও দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সিপিএমের এক কর্মীকে সস্ত্রীক পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের তিন স্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজার ৭৮৯, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬১১৯ এবং জেলা পরিষদের ৬২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলাকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ওই ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় সংঘর্ষে তকবীর গায়েন নামে এক সিপিএম কর্মী নিহত হয়েছেন। কুলতলিতে আরিফ আলী গাজী নামে তৃণমূল সমর্থক নিহত হয়েছেন। জালভোটে বাধায় দেয়ায় এসইউসির কর্মীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

শান্তিপুরে গণপিটুনিতে সঞ্জীব প্রামাণিক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তপন মণ্ডল নামের এক প্রবীণ বিজেপি কর্মীকে দুষ্কৃতীরা বোমা এবং গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। নদীয়ার নাকাশিপাড়ার বিলকুমারীতে ভোট দিয়ে ফেরার পথে ভোলা দফাদারকে প্রথমে বোমা নিক্ষেপ এবং পরে গুলি করে হত্যা করে নির্দল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

নন্দীগ্রামের খোদাম বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন দুই সিপিএমকর্মী। বাইকবাহিনী বুথ দখল করতে এলে তাদের বাধা দেন ওই দুই সিপিএমকর্মী। বচসার জেরেই দুই সিপিএমকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুবৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান অপু মান্না (৩০) এবং যজ্ঞেশ্বর ঘোষ।

এর আগে, রোববার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম কর্মী দেবু দাস এবং তার স্ত্রী উষা দাসকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় অভিযোগের তীর শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ এবং দমকলের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এসআইএস/পিআর

আরও পড়ুন