ইরাকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে
ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে এগিয়ে আছে প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুক্তাদা আল সদরের নেতৃত্বাধীন জোট। দেশটির নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির নেতৃত্বাধীন আন-নাসর জোট এগিয়ে আছে বলে জানানো হয়।
ইরাকের শিয়া আধা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের শক্তিশালী একটি জোট রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ওই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের সাবেক পরিবহনমন্ত্রী হাদি আল-আমিরি। এই জোটের সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আধা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কমান্ডার ছিলেন হাদি আল-আমিরি। গত বছর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার পর প্রথমবারের মতো ভোট দিল ইরাকের জনগণ। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং ভোট পড়েছে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনের জন্য ৭,০০০ এর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট। আইএসের বিরুদ্ধে চার বছরের যুদ্ধের অবসানের পর নতুন করে দেশ গড়ে তোলার জন্য ইরাক এখনও কঠিনভাবে লড়াই করে যাচ্ছে।
নির্বাচনে যারাই জয়ী হোক না কেন, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্তেজনাকে কমিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনাই তাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
শনিবারের ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন সুন্নি অথবা শিয়া রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে কুর্দিদেরও আলাদা তালিকা রয়েছে। শিয়া নিয়ন্ত্রিণ প্রদেশগুলোতে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। ইতোমধ্যেই ৯২ শতাংশ ভোট গণনা শেষ। আজ যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে।
টিটিএন/জেআইএম