ভারতের কাছে সবার আগে নেপাল
নেপালের মন রাখতে মরিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে নেপালে তৃতীয়বারের সফর গিয়ে মোদি জানালেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে নেপালই সবার আগে ভারতের কাছে।
নেপালের যেখানে সীতার জন্ম বলে কথিত রয়েছে জনকপুর নামের ছোট্ট সেই শহরটিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলার জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন মোদি।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলিকে পাশে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের রামের জন্মস্থান হিসেবে কথিত অযোধ্যা থেকে জনকপুর পর্যন্ত একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাস যোগাযোগের সূচনাও করেন তিনি।
মোদি বলেন, নেপালের কন্যা সীতাকে বাদ দিয়ে ভারতের রাম যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনই নেপালের ইতিহাসকে বাদ দিয়ে ভারতের ইতিহাসও অসম্পূর্ণ।
নেপালে রাজতন্ত্রের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে বড়সড় টানাপড়েন শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেপালি কংগ্রেসের পরাজয়ের পরে কে পি ওলির নেতৃত্বে যে বামেরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ বেশি। সে সুযোগে নেপালে প্রভাব বাড়াতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেইজিং। তারপরই নেপাল নিয়ে তৎপর হতে হয়েছে দিল্লিকে।
ক্ষমতায় আসার পর আগে যে দু’বার মোদি ভারত সফর করেছেন তখন জনকপুরে যাওয়া হয়েছিল না তার।
জনকপুর গিয়ে নেপালি ও মৈথিলি ভাষায় বক্তৃতা করেন মোদি। শুরুতেই তিন বার বলেন, ‘জয় সিয়ারাম!’ জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, এ বারে তিনি নেপালে এসেছেন তীর্থযাত্রী হিসেবে। তবে দু’দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে তুলতে ব্যবসা বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বাড়ানোয় জোর দেন তিনি।
মোদি বলেন, সঙ্কটে বরাবর পাশাপাশি থেকেছে ভারত ও নেপাল। দু’দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, আই-ওয়ে (ইন্টারনেট), বিদ্যুৎ সংযোগ, এমনকি জল ও আকাশ পথে যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে তার সরকারের। দু’দেশের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন তীর্থস্থানগুলিকে জুড়ে সার্কিট গড়ে তোলা গেলে হাজার হাজার যুবকের যেমন জীবিকার সংস্থান হতে পারে, আধ্যাত্মিক সুতোয় বাঁধা পড়তে পারে ভারত ও নেপালের মানুষ। আনন্দবাজার।
এনএফ/জেআইএম