ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি হতে পারে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ০৯ মে ২০১৮

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত-ভাবে জাতিগত নিধনের বিষয়টি শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তুলে ধরতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন করে।

মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের অাগস্ট মাসের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা এবং এর আগে আসা আরও দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর অবস্থা সরাসরি দেখে গেছেন জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

তারা নিউইয়র্কে ফিরে গিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে গেছেন। যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ের্স বলেন, পরিষদের সকল সদস্যই মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি গত দশকের মধ্যে দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলোর একটি এবং অবশ্যই সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস ডিরেক্টর পরম প্রীত সিং বলেন, এবার সিকিউরিটি কাউন্সিল সদস্যরা সরাসরি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ নির্যাতনের বিষয়ে শুনেছেন। যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

rohingya-0

নির্যাতনের বিষয়ে মিয়ানমারের অব্যাহত এবং অকল্পনীয়ভাবে অস্বীকার করে আসা এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতি প্রমাণ করে এখন কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যায়বিচারের একমাত্র ভরসা।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে চারদিনের সফরে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচিসহ দু’দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সাথে আলাপ করেছেন।

আইসিসিতে উত্থাপনের সম্ভাবনার বিষয়ে ব্রিটিশ দূত পিয়ের্স সাংবাদিকদের বলেন, অং সাং সুচি কাউন্সিল সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপযুক্ত প্রমাণ পেলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করবে। যদিও রোহিঙ্গাদের ওপর সর্বোচ্চ মাত্রায় নির্যাতনের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার দ্বারা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের পরও তারা নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

একবছরের বেশি সময় ধরে দেশটির সরকার সেখানে ইউএন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছেনা। হত্যা, ধর্ষণ এবং ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টও দেশটির সেনাবাহিনী নাকচ করে আসছে।

গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত দল জানায়, অন্তত ৩৭৬ ‘সন্ত্রাসী’ সংঘাতের সময় নিহত হয়েছে কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি। যেখানে ২০১৭ সালের অাগস্টের সহিংসতার পর কোন বেসামরিক তদন্ত হয়নি, সেখানে রাখাইন রাজ্যের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন কমিশন (২০১৬ সালে অক্টোবর ও নভেম্বরে সংঘটিত সহিংসতার তদন্তে গঠিত) তাদের তদন্ত শেষে জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ এবং জাতিগত নিধনের মতো কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন