ছবিতে প্রয়াত আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা
ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত ভারতবাসী। শুধু ভারতেই নয় বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এই মিসাইল ম্যানকে। ছবিতে দেখে নেয়া যাক সদ্যপ্রয়াত এই কিংবদন্তীকে।
হঠাৎ বিদায়
সোমবার সন্ধ্যায় মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। কিন্তু কথা বলতে বলতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ৮৩ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে গেলেন এই বিজ্ঞানী।
হকার থেকে রাষ্ট্রপতি
২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরের এক মৎস্যজীবী পরিবারে জন্ম নেন আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম। ছোটবেলায় একসময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংবাদপত্রও বিক্রি করেছেন। সততা, সাধনা এবং মেধা তাঁকে দেশের সবচেয়ে সম্মানজনক আসনে আসীন করে।
চিরস্মরণীয় বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর অবদান
রাষ্ট্রপতি না হলে একজন বিজ্ঞানী হিসেবেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতেন এপিজে আব্দুল কালাম। ভারতের প্রথম মহাকাশযান তৈরিতে প্রধান ভূমিকা ছিল তাঁর। দেশের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র রোহিনী উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়েছিল ওই মহাকাশযানের কারণে। পোখরান-২ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাতেও মূখ্য ভূমিকা ছিল তার।
বিশেষ মুহূর্তে
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে জাতীয় পতাকা রেখেছে ভারত।ঐতিহাসিক সেই দিনে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএসআরও-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ড. এপিজে আব্দুল কালাম।
আজমির শরিফে আব্দুল কালাম
সমাজের সর্বস্তরের মানুষেরই প্রিয় ছিলেন এ পি জে আব্দুল কালাম। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল তাঁর। শ্রদ্ধা ছিল সব ধর্মের প্রতিই। ২০০৩ সালের দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারে ৬৯৯তম উরুস মুবারক উদযাপনের অনুষ্ঠানে গেলে তাঁকে ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি পরিয়ে সম্মান জানানো হয়।
ফুলেল শ্রদ্ধা
ব্যাঙ্গালোরের প্রধান সড়কের পাশে সদ্য প্রয়াত এ পি জে আব্দুল কালামের বিশাল ছবি। ছবির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
সোমবার তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে ছেয়ে যায় ভারত। মঙ্গলবার শিলং থেকে দিল্লিতে পৌঁছায় এপিজে আব্দুল কালামের মরদেহ।বিমানবন্দরেই সদ্যপ্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানান ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
এসআইএস/আরআইপি