লালকেল্লার সংস্কারে ডালমিয়া ভারত গ্রুপ
ভারতের ঐতিহাসিক সৌধ লালকেল্লা সংস্কার কাজের দায়িত্ব পেয়েছে দেশটির বেসরকারি সংস্থা ডালমিয়া ভারত গ্রুপ। নিলাম জিতে পাঁচ বছরের চুক্তিতে লালকেল্লা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে এই গ্রুপ।
১৭ শতকে মূঘল সম্রাট শাজাহানের তৈরি এ বিখ্যাত কেল্লা সংস্কার কাজের দ্বায়িত্ব পেতে ডালমিয়া গ্রুপকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স ও জিএমআর গ্রুপের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে।
এরপরই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠেছে, নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদ নিয়ে। সরকারের কোষাগারে কি লালকেল্লা, তাজমহলের মতো সৌধ দেখভালের অর্থও নেই?
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা জানান, ‘সরকারি প্রকল্পের আওতায় লালকেল্লার সংরক্ষণ চলবে। গত বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভারত সরকারের একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। দেশের স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক সংস্থা এগিয়ে এসেছে। লালকেল্লার সেরকম কিছু দায়িত্ব পেয়েছে ডালমিয়া গ্রুপ। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানি না, এখন মানুষ কেন এগুলো নিয়ে আঙুল তুলছে।’
ডালমিয়া গ্রুপের সিইও মহেন্দ্র সিংঘী জানান, ৩০ দিনের মধ্যে লালকেল্লায় কাজ শুরু হবে। এই কেল্লা পাঁচ বছরের জন্য নেয়া হয়েছে। পরে চুক্তি বৃদ্ধিও করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক পর্যটক তাদের কাছে গ্রাহকের মতোই, তাই তারা যাতে একবার নয়, বার বার আসে সেই চেষ্টাই করা হবে।
চলতি বছরের ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই কেল্লাকে ভাষণ উপযোগী করে তোলার চিন্ত-ভাবনা রয়েছে ডালমিয়া গ্রুপের।
লালকেল্লাকে পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দৃষ্টিহীনদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হবে বিশেষ ধরনের মেঝে, শুরু করা হবে লাইট শো, সৌধের বিভিন্ন জায়গায় লেখা হবে লালকেল্লার ইতিহাস, প্রতিদিন থাকবে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন।
কেল্লাকে জনপ্রিয় করতে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থাও করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে লালকেল্লা চত্বরে শৌচাগারের উন্নতি, পর্যটকদের ঘুরে দেখার সুবিধার জন্য কেল্লার বিভিন্ন অংশের ম্যাপ, কেল্লা চত্বরে আলোকসজ্জা, অনুসন্ধান কেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, কফি শপ তৈরি করবে এই গ্রুপ।
এসআইএস/জেআইএম