ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

১৪০ শিশুকে একসঙ্গে বলি দেয়া হয়েছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিশু বলিদানের ঘটনার খোঁজ পেয়েছেন বলে মনে করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। প্রায় ৫৫০ বছর আগে পেরুর উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে একসঙ্গে প্রায় ১৪০ শিশুকে বলি দেয়া হয় বলে তারা জানাচ্ছেন। আর এ ঘটনাটিকেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিশু বলিদানের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রাচীন চিমু সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু বর্তমানে যেটি ট্রুজিলো নামে পরিচিত, তার কাছেই এ ঘটনা ঘটে বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ওই ঘটনায় শিশুদের সঙ্গে দুইশ’র বেশি ‘লামা’ নামে পরিচিত স্থানীয় পশুকেও বলি দেয়া হয়।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি সমর্থিত এই আবিষ্কার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশনায় প্রধান গবেষক জন ভেরানো বলেন, আমি এটা কখনই আশা করিনি এবং চিন্তাও করতে পারি না যে আর কেউ আশা করবে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্রকাশ করা গবেষণায় বলা হয়েছে, বলি দেয়া ১৪০ শিশুর বয়স ছিল ৫ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে, এদের অধিকাংশের বয়স ৮ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। খোঁজ পাওয়া কঙ্কালগুলোতে কাটা চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের বলি দেয়া হয়েছিল। তাদের পাঁজর বিনষ্ট করা হয় এমনকি হৃৎপিণ্ডও বের করে নেয়া হয়েছিল।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে শিশু এবং লামাগুলোকে কাদার ভেতর একসঙ্গে সমাহিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া অধিকাংশ শিশুকে এক ধরনের উজ্জ্বল লাল রঙে রাঙানো ছিল যেটাকে বলিদানের চিহ্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। একই পরিণতির শিকার লামাগুলোর বয়সও ছিল ১৮ মাসের কম। সেগুলোকেও আন্দেস পর্বতের পূর্ব দিকেই পুঁতে ফেলা হয়েছিল।

গবেষকরা বলছেন, খননের সময় মনে হয়েছে মাটির যে স্তরে শিশুগুলোকে সমাহিত করা হয়েছে সেখানে বন্যা হয়েছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতেই এটি করা হয়েছিল।

এরআগে ২০১১ সালে হুয়ানচাকুটিও নামক স্থানে সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরোনো একটি মন্দিরের কাছে খননের সময় প্রথম মানব বলিদানের স্থান খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে ৪০ জন মানুষ ও ৭৫টি লামা বলি দেয়া হয়।

এফএ/এনএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন