মহারাষ্ট্রে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১৬ মাওবাদী নিহত
ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী) ১৬ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রোববার মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ছত্তিশগড় রাজ্যের সামান্তবর্তী কাসানসুর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের হত্যা করা হয়। খবর দ্য হিন্দু।
মহারাষ্ট্র পুলিশের মাওবাদী দমন ইউনিটের (এএনও) পুলিশ কর্মকর্তা শরদ শেলার ‘দ্য হিন্দুকে জানান, এটা ছিল একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো অপারেশন। বন্দুকযুদ্ধের আগে মাওবাদীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্ত তারা আত্মসমর্পণ করেননি। বন্দুকযুদ্ধ একঘন্টা ব্যাপী চলেছে বলে জানান তিনি।
শরদ বলেন, মাওবাদীদের তৎপরতা বিষয়ে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। পরে এ তথ্য যাচাই-বাছাই করে শনিবার রাতে অপারেশন চালানো হয়। এজন্য মধ্যরাতে কাসানসুরে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। রোববার সকাল নয়টায় আমাদের টিম বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হয়।
মাওবাদী দমনে মহারাষ্ট্র পুলিশের একটি স্পেশাল ইউনিট (সি-৬০) সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় এ অপারেশন চালায়।
শরদ বলেন, মাওবাদীরা আমাদের টিমকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়িভাবে গুলি ছুড়তে থাকে। আমরা তাদের গুলি ছুড়তে নিষেধ করি এবং আত্মসমর্পণ করতে বলি, কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ মাওবাদীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছু বিদ্রোহী পালিয়ে যায়।
বন্দুকযুদ্ধের পর তল্লাশি চালিয়ে মাওবাদীদের ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে দুইজন সিপিআইয়ের বিভাগীয় কমিটির সদস্য। এই বন্দুকযুদ্ধে শ্রীনিভাসন এবং সাইনাথসহ মাওবাদীর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাও নিহত হয়েছেন।
মাওবাদী দমনে রোববারের অপারেশনকে একটি ‘বড় পদক্ষেপ’ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ ওই এলাকায় মাওবাদীরা ঠাঁই পাওয়ার চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ এ অভিযানকে ‘সবচেয়ে সফল অভিযান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এসআর/টিটিএন/জেআইএম