দলের নেতাদের সতর্ক করলেন মোদি
নিজের দল বিজেপির নেতাদের ভুলের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মন্ত্রী, সাংসদ বা দলের নেতা কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ধর্ষণের ঘটনা আর বেফাঁস মন্তব্যের কারণে গত ছয়মাসে দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এসব বিষয়ে নিজের অ্যাপ নরেন্দ্র মোদি অ্যাপের মাধ্যমে সারা দেশে বিজেপি নেতাদের আবার সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে শুধু নিজেদেরই না বরং পুরো বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
দলের নেতাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, সংবাদমাধ্যম বাড়াবাড়ি করছে বলে তাদের সব সময় দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা ভুল করছি আর সংবাদমাধ্যমের হাতে ‘মশলা’ তুলে দিচ্ছি। ক্যামেরা দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছি, যেন আমরা কোনও বিরাট সমাজবিজ্ঞানী অথবা বিশ্লেষক।
প্রকৃত তথ্য না জেনে করা সেই সব মন্তব্যকে ব্যঙ্গ করছে সংবাদমাধ্যম। এতে সংবাদমাধ্যমের দোষ নেই। এক ঘণ্টার বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রত্যেকে যদি মতামত দিতে শুরু করেন, তাহলে মূল বিষয়টা থেকে নজর সরে যায়। উত্তর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত লোক আছে।
গত বছর এপ্রিলের দলীয় সম্মেলনেও মোদি নেতাদের বলেছিলেন, চুপ করে থাকা অভ্যাস করুন। এ বার কাঠুয়া এবং উন্নাওয়ে ধর্ষণ-খুন নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে ফের মোদির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও আজ তিনি যখন সতর্ক করছেন, তখনই তার মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) দুর্ভাগ্যজনক। কখনও কখনও থামানো যায় না। এত হইচইয়ের কী আছে?
মোদি যে ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তুলেছেন, তার নমুনা মিলেছে মধ্যপ্রদেশের বালিয়ার সাংসদ ভরত সিংহের মন্তব্যেও। তিনি গতকাল বলেছেন, কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করেন খ্রিস্টান মিশনারিরা। এই সব মিশনারির নির্দেশে কাজ করেন সোনিয়া গান্ধী। দেশের ঐক্যের জন্য এই মিশনারিরা বিপজ্জনক।
গত সপ্তাহে বিতর্কিত কথা শোনা গিয়েছিল ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মুখেও। তিনি বলেছেন, মহাভারতের সময় থেকেই ইন্টারনেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগের বিষয়টি ছিল। জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংহ বলেন, ডারউইনের তত্ত্বের বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই। তাই পাঠ্যবই থেকে এই তত্ত্ব সরিয়ে দেওয়া উচিত।
টিটিএন/জেআইএম