ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কলকাতায় প্রাণের বৈশাখ মেলার সাড়ম্বর উদ্বোধন

মনিকা সাহা | কলকাতা | প্রকাশিত: ১১:৪৪ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

 

কলকাতার শ্যাম পার্কে শনিবার প্রাণ লিচি ডিংকস আয়োজিত 'প্রাণের বৈশাখ' মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ফিতা কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন প্রাণ বেভারেজস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইফ সাইগল এবং প্রাণ বেভারেজস ইন্ডিয়ার পরিচালক রাজেস ঘোষ। এসময় প্রাণ আরএফএল গ্রুপের হেড অফ মার্কেটিং এক্সপোর্ট আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

jagonews24

প্রাণের বৈশাখের এই আয়োজনে প্রাণ-আরএলের মোট চারটি স্টল বসেছে। এর মধ্যে রয়েছে লিচি, চকলেট, ফ্রুটো, চিপস, নুডুলসসহ প্রাণের বিভিন্ন প্রণ্যের স্টল। এছাড়া রয়েছে আরএফএলের প্লাস্টিকের সামগ্রীর বিশেষ স্টল।

এক জায়াগায় এতোগুলো বাংলাদেশি পণ্যের স্টল পেয়ে খুশি কলকাতার ক্রেতারা। বৈশাখের মেলার আবহের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাড়ির টানও। উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্ক অঞ্চলটি মূলত বনেদি হিন্দু এলাকা। যাদের বেশির ভাগেই দেশভাগের সময় বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে আবাস গড়েন। বাংলাদেশের আয়োজনে এই ধরণের একটি মেলাকে উপভোগ করতে পেরে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন।

jagonews24

কিরণ কুমার মালাকার তাদেরই একজন। তিনি বলেন, ফরিদপুরে তাদের আদি বাড়ি। স্বাধীনতার আগেই এসেছিলেন কলকাতায়। মুক্তিযুদ্ধের পর আর দেশে ফেরা হয়নি। নিজের এলাকায় বসেই এবার দেশের স্বাদ পাওয়াটা তার কাছে অনেক বড় পাওয়া।

ফিতে কাটার পরপরই স্বাগত নন্দীর কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গান বৈশাখের আবহকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। গানের সঙ্গে যুক্ত হয় রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাঠ। ছিল মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীরা।

jagonews24

প্রাণের হেড অফ মার্কেটিং এক্সপোর্ট আরিফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এই মেলার জন্যই তারা একটি বিশেষ থিম সংগীত তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়িকা বুশরা শাহরিয়ার এই মেলার থিম সংগীতটি গেয়েছেন।

তার ভাষায়, বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে সরকারি ছুটি থাকে। ভোর ৫টা থেকেই সেখানে নববর্ষ উদযাপনের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ছুটি না থাকায় এখানকার মানুষের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এই বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি ঠিকঠাক উপভোগ করতে পারে না।

jagonews24

এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণ বেভারেজ অফ ইন্ডিয়ার পরিচালক রাজেশ ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, ভারতে প্রাণ গ্রুপের সঙ্গে প্রায় পনের শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছেন। তাদের আনন্দ ও কলকাতাবাসীর মনে বাঙালিয়ানা এবং বাংলা চেতনা পৌঁছে দেয়ার জন্যই এই ছোট্ট প্রয়াস।

তিনি আরও জানান, ভারতে ব্যাবসা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আরেকটি মূল উদ্দেশ্য হলো এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

jagonews24

১৫ এপ্রিল রোববার মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে বাংলা বর্ষবরণের এই আয়োজনে।

এমবিআর

আরও পড়ুন