আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি বিবাহিত পুরুষদের
বিবাহিত পুরুষদের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভারতে। দেশটিতে বিবাহিত পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিয়ের পর আত্মহত্যা করার প্রবণতা কম থাকে।
শুধু তাই নয়, ডিভোর্স বা স্ত্রী বিয়োগ হওয়ার পর পুরুষদের আত্মহত্যার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়। সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রায় ৬০ হাজার বিবাহিত পুরুষরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সেখানে ২৭ হাজার বিবাহিত মহিলারা আত্মহত্যা করেন। স্ত্রী বিয়োগের পর ১৪০০ পুরুষ আত্মহত্যা করেন। নারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১৩০০। ডিভোর্স হওয়ার পর ৫৫০ জন পুরুষ ৪১০ জন মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে যত মানুষ আত্মহত্যা করেছেন, তার মধ্যে ৬৬ শতাংশ বিবাহিত। সেখানে অবিবাহিতরা আত্মহত্যা করেছেন ২১ শতাংশ।
এত আত্মহত্যার কারণ কি? সমীক্ষা বলছে, আত্মহত্যার জন্য পারিবারিক সমস্যাই এক নম্বরে রয়েছে। প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই পথে হাঁটছেন। বয়সের দিক থেকে বিচার করলে দেখা গেছে, ১৮ বয়স পর্যন্ত পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা প্রায় সমান। ১৮-৩০ বছর বয়সে প্রায় ৬০ শতাংশ পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। ৩০-৪৫ বছর বয়সের মধ্যে ৭২শতাংশ পুরুষরা আত্মহত্যা করছেন। ৪৫-৬০ বছর বয়সের মধ্যে ৮০শতাংশ পুরুষরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গ্যানাইজেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী- ২০১৪ সালে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ বিশ্ব জুড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে এক জন মানুষ আত্মহত্যা করেন। এর মধ্যে ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা এবং মৃত্যু সব থেকে বেশি ঘটেছে।
এসএইচএস/এমআরআই