ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ডোকলামে ফের সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৮

অরুণাচল প্রদেশে চীন সীমান্তের বিতর্কিত ডোকলামে আবারো সৈন্য সমাবেশ ও টহল বাড়িয়েছে ভারত। প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলের দিবাং, দো দিলাই, লোহিত উপত্যকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে শনিবার খবর দিয়েছে ভারতীয় সরকারি সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিঅাই)।

প্রায় এক বছর ধরে ডোকলামে চীনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে দেশ দুটির মাঝে চরম উত্তেজনা চলছে।

ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, কৌশলগতভাবে স্পর্শকাতর তিব্বতের সীমান্ত অঞ্চলে চীনের কার্যক্রমের ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখার লক্ষ্যে ডোকলামে নজরদারি সামগ্রী ও শক্তি বৃদ্ধি করছে ভারত। পরিস্থিতি রেকি করতে প্রতিনিয়ত ডোকলামের আকাশে সামরিক হেলিকপ্টারের টহল অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি।

তারা বলছেন, দিবাং, দৌ দিলাই ও লোহিত উপত্যকায় চীনের ক্রমবর্ধমান অবস্থান মোকাবেলায় কৌশলের অংশ হিসেবে ভারত ১৭ হাজার ফুট উচ্চতার তুষারাবৃত পর্বত ও নদীসহ দুর্গম এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

চীনের তিব্বত অঞ্চল লাগোয়া ভারতের পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা কিবিথুর এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধুমাত্র ডোকলামে, আমরা আমাদের কার্যক্রম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছি। যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’

ভারতীয় এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনী দীর্ঘ পাল্লার টহল বাড়ানো হয়েছে। ভারত-চীন সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা যাতে চীনা সেনাবাহিনী লঙ্ঘন করতে না পারে; সেলক্ষ্যে ছোট ছোট দলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ১৫ থেকে ৩০ দিনের টহলে পাঠানো হচ্ছে।

গত বছর বিতর্কিত ডোকলামে চীনের সেনাবাহিনীর সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ৭৩ দিনের ব্যাপক সামরিক উত্তেজনার অবসানের আগে দুই দেশের সেনাবাহিনী ডোকলামে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় দেশের আগ্রহে গত বছরের ২৮ আগস্ট ডোকলাম টানাপোড়েনের অবসান ঘটে।

দীর্ঘদিনের অচল অবস্থার অবসান ঘটলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত চীন, পাকিস্তান ও মিয়ানমার সীমান্তে সামরিক নজরদারি বাড়ানোর ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি কথাও জানান তিনি।

এদিকে, ভারতের সঙ্গে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় চীন নতুন সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।

এসআইএস/জেআইএম

আরও পড়ুন