চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ
মেধাস্বত্ত চুরিতে উৎসাহ দেয়ার অভিযোগে চীনের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন ঘোষণার পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর নতুন করে তিনশ কোটি ডলার শুল্ক আরোপের চিন্তা করছে বেইজিং।
সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারেই এর প্রভাব পড়ছে। ট্রাম্প বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার স্মারকলিপি স্বাক্ষরের পরেই পড়তে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার। যেসব পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের চিন্তা করা হয়েছে সেগুলো হলো, শূকরের মাংস, ওয়াইন, ফলমূল, স্টেইনলেস স্টিল পাইপের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও হার্ডওয়ার পণ্যসামগ্রী।
যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘বিপজ্জনক স্থানে’ নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে এ ধরনের পদক্ষেপ এড়াতে বেইজিং অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটন এই বাণিজ্য যুদ্ধের কিনারা থেকে সরে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে চীন।
ওয়াশিংটনের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছে, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করছে না চীন। যে সমস্ত মার্কিন সংস্থা তাদের দেশে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করে মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার নিয়ম ভেঙে এবং চাপ খাটিয়ে এশীয় দেশটি হাতিয়ে নেয় তাদের প্রযুক্তি। এটা আসলে প্রযুক্তি চুরির মতোই।
এসব কারণেই ৬ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি ও যুক্তরাষ্ট্রে চীনা বিনিয়োগে লাগাম টানার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সহযোগিতাই এখন ‘একমাত্র বিকল্প’। বিশ্ব অর্থনীতির দুই মহাশক্তির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ সারা বিশ্বেই প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টিটিএন/পিআর