বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে অবৈধ পাচার রুখতে তৎপর ভারত
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এর মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার এলাকায় এখনও বর্ডার ফেন্সিং হয়নি। ফলে এই এলাকা দিয়ে প্রচুর মাদকদ্রব্য ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়। এই অবৈধ পাচার বন্ধের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বুধবার ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন দুদিনের দিল্লী সফর শেষে আগরতলায় ফেরেন।
বুধবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, সীমান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। যেসব এলাকায় এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই সেসব এলাকায় দ্রুত বেড়া দেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
বিপ্লব কুমার আরও জানান, এপ্রিল মাসে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রিপুরা সফরে আসবেন ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এখনও যে সকল সীমান্ত এলাকায় বেড়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি সেই সব এলাকায় জিরো পয়েন্টে বেড়া লাগানো হবে। পাচার বন্ধ করার জন্য লাগানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার সড়কগুলোও সংস্কার করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের চিটাগাং সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে রাজ্যে একটি ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে প্রচুর ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা পূরনের জন্য তারা কাতার থেকে সার আমদানি করে। তাই এই রাজ্যে ইউরিয়া সার কারখানা উৎপাদন হলে বাংলাদেশের বাজার সহজেই ধরা যাবে।
এমবিআর/আরআইপি