পুতিনকে নিয়ে নতুন তথ্যচিত্র
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে নতুন তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দুই ঘণ্টার এই তথ্যচিত্র অনলাইনে পোস্ট করার পর থেকে তা নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে। খবর বিবিসি।
নতুন ওই তথ্যচিত্রে পুতিন জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী একটি বিমানকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে আনার আদেশ দিয়েছিলেন তিনি। কারণ তাকে জানানো হয়েছিলো যে বিমানটির ভেতরে বোমা আছে। শুধু তাই নয়, বিমানটিকে সোচির শীতকালীন অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বিমানটি দিয়ে সেখানো হামলা চালানো।
রাশিয়ায় নির্বাচন হবে চলতি মাসের ১৮ তারিখে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন। সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
পুতিন জানান, তাকে বলা হয়েছিলো বিমানটি ইউক্রেন থেকে তুরস্কের দিকে যাচ্ছিলো। অলিম্পিক শুরুর ঠিক আগে ভাগে বিমানটিকে ছিনতাই করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে দেখা যায়, পুতিনকে দেওয়া এসব তথ্য সত্য নয়। তাই বিমানটিকে আর ভূপাতিত করা হয়নি।
নতুন তথ্যচিত্রে পুতিন বলেন, আমাকে বলা হয় ইউক্রেন থেকে ইস্তাম্বুল যাচ্ছে এমন একটি বিমান ছিনতাই হয়েছে।
তুর্কী পেগাসাস বোয়িং এয়ারলাইন্সের বিমানটি ১১০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউক্রেনের খারকিভ থেকে। পুতিনকে জানানো হয় একজন যাত্রীর কাছে একটি বোমা আছে। সে পাইলটকে বলেছে বিমানটিকে সোচির দিকে নিয়ে যেতে।
পুতিন বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তখন তাকে বলেন যে এরকম জরুরি পরিস্থিতিতে প্রথম কাজ হলো বিমানটিকে মাটিতে নামানো। আমি তাদেরকে বলেছিলাম পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করুন।
এই আদেশ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি আরেকটি ফোনকল পান। তখন তাকে বলা হয় এর আগে বিমানটি সম্পর্কে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। এসব ছিলো ফলস এলার্ম। এর কিছুক্ষণ পরই পুতিন অলিম্পিকের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সোচিতে অলিম্পিকের ভেন্যুতে গিয়ে পৌঁছান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও পুতিনের এসব বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ছবিতে পুতিনের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী তার কাছে জানতে চান ক্রাইমিয়া অঞ্চলকে আবার ইউক্রেনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা?
প্রেসিডেন্ট পুতিন তখন স্পষ্ট বলে দেন, আপনি এসব কি বলছেন? এরকম কোনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে না এবং এরকম কখনও হবে না। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে এই অঞ্চলটি দখল করে নিয়েছে। তথ্যচিত্রে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন তিনি কিছু কিছু বিষয় ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু সবকিছু তিনি ক্ষমা করতে পারেন না। তিনি কী ক্ষমা করতে পারেন না জানতে চাইলে পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলেন 'বেইমানি'।
টিটিএন/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ, মেটাকে জরিমানা
- ২ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: এক নজরে দুই প্রার্থী
- ৩ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বৃষ্টির বাগড়া, কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
- ৪ হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- ৫ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?