ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

একাত্তরে ত্রিপুরা যাওয়ার সময় মায়ের গর্ভে ছিলেন বিপ্লব দেব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৮

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল তখন প্রাণ বাঁচাতে গর্ভবতী স্ত্রী মিনা রানী দেবকে নিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাড়ি জমান হিরুধন দেব। সেখানকার একটি হাসপাতালে ফুটফুটে চাঁদের মতো সুন্দর এক পুত্রসন্তান জন্ম দেন মিনা রানী। তার নাম রাখা হয় বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আজ ত্রিপুরার হবু মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় না গেলে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলাতেই তার জন্ম নেয়ার কথা ছিল।

বিপ্লব কুমার দেবের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা-মা ত্রিপুরা চলে যাওয়ার পর সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তারা। তবে আত্মীয়-স্বজন অনেকে এখনো কচুয়ায় বসবাস করেন। তার চাচা প্রাণধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি। ছোট চাচাও কচুয়ায় থাকে।

চাচা প্রাণধন দেব জানান, বিপ্লব দেব তিন বোনের একমাত্র ভাই। তার বাবা-মা বাংলাদেশে থাকাকালে গর্ভধারণ করেছিলেন বিপ্লবের মা। তবে ত্রিপুরার একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরা ও দিল্লিতে বড় হলেও কচুয়ায় বিপ্লব দেবের যাতায়াত রয়েছে বহু বছর ধরে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সময়ও তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ত্রিপুরা রাজ্যের ফলাফল ঘোষণার পর গতকাল রোববার মোবাইল ফোনে চাচা-ভাতিজার কথা হয়েছে। তখন বিপ্লব বলেছেন, ‘কাকু আমার বাবা তো নেই। তুমিই তো আমার অভিভাবক। আশা করছি আমি মুখ্যমন্ত্রী হবো। হলে তুমি কিন্তু আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবে।’

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে বিজেপি ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসন পায়। বিপ্লব কুমার দেব নিজেও একটি আসনে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরার নতুন রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বিপ্লব দেবের।

বিপ্লব দেব ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান ২০১৬ সালে ৭ জানুয়ারি। আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে বিপ্লব দেব ১৫ বছর দিল্লিতে ছিলেন। সেখানে একটি ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। এবার ত্রিপুরার বনমালিপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন বিপ্লব।

এসএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন