আইনের শাসনে অবনতি বাংলাদেশের
আইনের শাসনে বিশ্বের ১১৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একেবারে নিচের দিকে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাটালিডস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইনফোগ্রাফ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনের শাসনে বিশ্বের ১১৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২তম।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নিচে রয়েছে পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া।
ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল সূচকের ভিত্তিতে ডাটালিডসের এ প্রতিবেদনে এশিয়ায় আইনের শাসনের দিক দিয়ে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে সিঙ্গাপুর। দেশটির অবস্থান ১৩তম। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে জাপান। আইনের শাসনে ১১৩টি দেশের মধ্যে জাপান ১৪তম অবস্থানে আছে।
এছাড়া বৈশ্বিক আইনের শাসনে দক্ষিণ কোরিয়া ২০তম। মানুষের আইনি সুরক্ষার ভিত্তিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া।
গত দুই দশকে পূর্ব এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়া শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করেছে। দেশটির অবস্থান ৫১তম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এশিয়ার অনেক দেশের ওপরে অবস্থান করছে এ দেশটি।
সূচকে মালয়েশিয়া এবং নেপাল যথাক্রমে ৫৩ এবং ৫৮তম স্থানে রয়েছে। নেপালের পরই আছে শ্রীলঙ্কা। তবে আইনের শাসনে শ্রীলঙ্কার অগ্রগতি বেশ চোখে পড়ার মতো। দেশটি ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল’র গত সূচকের চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছে।
ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার জেরে দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব আইনের শাসন সূচকে ভারতের অবস্থান ৬২তম। এরপরই আছে ইন্দোনেশিয়া (৬৩তম)। ইন্দোনেশিয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির পাশাপাশি ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেনাশাসনের অধীনে থাকা থাইল্যান্ড ১১৩ দেশের মধ্যে ৭১তম। থ্যাইল্যান্ডের পরই আছে ভিয়েতনাম (৭৪তম) এবং চীন (৭৫তম)।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের অবস্থান ৮৮তম। মিয়ানমার আছে ১০০তম স্থানে। তবে ১১৩ দেশের এ তালিকার একেবারে নিচের দিকে অবস্থান কম্বোডিয়া। দেশটির অবস্থান ১১২তম।
এসআইএস/জেআইএম