শূন্য রেখায় আটকা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে মিয়ানমার
সীমান্তের শূন্য রেখায় আটকে পড়া প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে নেইপিদো।
বৈঠকের পর বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা শূন্য রেখায় আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেরত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেননা এরা এখনও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখণ্ডের ভেতরেই রয়েছেন। তবে মিয়ানমার এদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে আগ্রহী।
এই রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় গত ছয় মাস ধরে আটকা পড়ে আছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস এবং জাতিসংঘের শরণার্থীব্ষিয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের খাদ্য ও ত্রাণের ব্যবস্থা করছে। এদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে এক বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুই দেশের প্রতিনিধিদল নো-ম্যানস ল্যান্ডে তাদের শিবিরগুলো পরিদর্শন করে এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গেও দু'পক্ষের কথা হয়।
বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, তারা বলেছে যে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যদি তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে তাহলে তারা তাদের গ্রামে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি যেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেন, যেন রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভিটেতে ফিরে যেতে পারে।
‘এই রোহিঙ্গারা যেহেতু এখনো বাংলাদেশের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি এবং মিয়ানমারের সীমান্তের ভেতরেই রয়েছে- তাই এদের কোন ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই বলেই আমরা মনে করি। এ কথা আমরা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বলেছি।’
‘তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে যারা নো-ম্যানস ল্যান্ডে আছে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
তাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি। কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে তার কোন নির্দিষ্ট সময় মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেননি বাংলাদেশের এই কর্মকর্তা। কোন নির্দিষ্ট তারিখ তারা দেয়নি- বলেন তিনি।
এসআইএস/আইআই