ফিলিস্তিন-ইসরায়েল কেউই শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়
জেরুজালেমে ইসরায়েলি বসতি ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে এবং এ বিষয়টিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলি একটি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল কেউই শান্তির জন্য প্রস্তুত আছে বলে তিনি মনে করেন না।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তখন তিনি ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। ফিলিস্তিনিরা শান্তি আলোচনায় রাজি না হলে তাদের এতদিন ধরে যে সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেন ট্রাম্প।
তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মধ্যে একতরফা ভাবেই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ এখন আবার তিনি নিজেই ইসরায়েলকে সতর্ক করছেন। রোববার ইসরায়েল হাইয়োম পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে কথা বলেন।
ইসরায়েল হাইয়োম পত্রিকার সম্পাদক বোয়াজ বিসমুথ ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্র কখন তাদের শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে? এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখব কি ঘটে। এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন শান্তি স্থাপনের পথে নেই। শুধু তারাই নয় বরং ইসরায়েলও এ বিষয়ে ইচ্ছুক নয় বলে মনে হচ্ছে। আমাদের এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে কি ঘটে।
ট্রাম্প প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েলি বসতির বিষয়টি থাকবে কি না। তিনি জানান, আমরা বসতি নিয়ে কথা বলব। বসতি স্থাপনের বিষয়টি এমন জটিল যে তা সবসময়ই শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করছে। তাই আমার মনে হয় বসতি স্থাপনের বিষয়ে ইসরায়েলকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে গড়ে তোলা প্রায় ১৪০ টি বসতিতে বাস করছে ৬ লাখেরও বেশি ইহুদি। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এই বসতি স্থাপন অবৈধ। কিন্তু ইসরায়েল তা কখনই মানে না।
শুক্রবারের প্রকাশিত ওই সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তিতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি জেরুজালেম একটি বড় ইস্যু এবং এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
টিটিএন/পিআর