ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফের বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো এই পরিস্থিতি তৈরি হলো। মার্কিন সিনেটে ব্যয়-সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় ফের বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই অচলাবস্থা শুরু হয়। খবর বিবিসি।

বৃহস্পতিবার রাতভর ওই বিল নিয়ে সিনেট সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু বিলের পক্ষে প্রয়োজনী ভোট না পড়ায় নতুন করে অচলাবস্থা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বেশিরভাগ ফেডারেল এজেন্সির অর্থায়ন কর্তৃপক্ষের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মার্কিন কংগ্রেসও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

মার্কিন সংসদ সদস্যদের প্রত্যাশা ছিল, স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগেই নতুন খরচের বিল পাস করতে পারবে তারা। কিন্তু এ বিষয়ে রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল বিতর্কের আবেদন করার পর দ্রুত বিল পাসের সম্ভাবনা আটকে যায়।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও টানা তিনদিনের অচলাবস্থার পর সরকারি কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় মার্কিন সিনেটে ব্যয়-সংক্রান্ত বিল নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছান। সরকারের কার্যক্রম পুনরায় সচল করতে ভোট দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয় ডেমোক্রেটরা।

রিপাবলিকানদের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট দিতে রাজি হন তারা। পরবর্তী সময়ে ড্রিমার্স হিসেবে পরিচিত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করা হবে এমন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই ওই বিল অনুমোদনে সম্মতি জানান ডেমোক্রেটরা। ফলে সরকারি কার্যক্রম প্রাণ ফিরে পায়। ব্যয় সংক্রান্ত ওই বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু স্বল্পস্থায়ী ওই বিলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্রেট দলের মতানৈক্যের কারণে আবারও নতুন করে অচলাবস্থা শুরু হলো। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরুর আগেই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পেতে হলে বাজেট বিলে অবশ্যই সিনেটে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য এবং প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে স্বাক্ষরিত হবে।

তবে এর ফলে এখন কংগ্রেসের কার্যক্রম কিভাবে চলবে বা শুক্রবার জনসেবামূলক কার্যক্রম প্রভাবিত হবে কিনা তাও পরিস্কার নয়।

টিটিএন/পিআর

আরও পড়ুন