ভারতের হস্তক্ষেপ চান মালদ্বীপের বিচারপতিরা
গভীর সঙ্কটে রয়েছে মালদ্বীপ। রাজবন্দীদের মুক্তি ঘোষণা এবং প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের অভিশংসনের শঙ্কায় দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনকে গ্রেপ্তার বা অভিশংসনের নির্দেশ দিতে পারেন এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারে আদালতের যে কোনো পদক্ষেপ ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে হাতে রেখেছে সরকার। প্রেসিডেন্ট ইয়ামেনি সুপ্রিম কোর্টের ওপর ক্ষমতার অপপ্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রোববার সকালের দিকে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে সুপ্রিম কোর্টে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আনার পর এ সঙ্কট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। এদিকে সকালের দিকেই সেনাবাহিনী রাজধানী মালেতে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।
মালদ্বীপের উচ্চ আদালতের একটি সূত্র বলছে, তারা ভারত এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সহায়তা চায়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বিচারপতিদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিথ্যা মামলার দায়ে প্রেসিডেন্ট ইয়ামেনি হয়তো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবদুলা সাইদসহ অন্যান্য বিচারপতিদের বরখাস্ত করতে পারেন।
এদিকে, বিচার বিভাগীয় প্রশাসনের প্রধান হাসান সাইদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তাকে ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, আমরা মালদ্বীপে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইছি।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ নাসিদসহ বেশ কয়েকজন রাজবন্দীর মুক্তির নির্দেশ দেয়। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোহাম্মেদ নাসিদ।
টিটিএন/এমএস