চোখের পাতায়ও জমেছে বরফ
চারদিকের তাপমাত্রা আর তুষারপাতে চোখের পাতায়ও বরফ জমছে। রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৫৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে এসেছে। ওই এলাকায় প্রায় ৫শ মানুষ বাস করে। সবচেয়ে ঠাণ্ডা এলাকা বলে পরিচিত ইয়াকুতিয়ায় অস্বাভাবিক ঠান্ডা আর তুষারপাতে মানুষ ঘর থেকেও বের হতে পারছে না। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।
এদিকে, রাশিয়ার আবহাওয়াবিদরা বলছেন ডিসেম্বরেই ইতিহাসের সবচেয়ে কম সূর্যের আলো দেখেছে মস্কো।
দেশটির প্রধান আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী এ মাসে সূর্য্য মস্কোতে আলো দিয়েছে মাত্র ছয় মিনিট। সাধারণত ডিসেম্বরে সূর্যের আলো কমই দেখা যায় মস্কোতে কিন্তু তা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একেবারেই কম ছিল।
ভয়াবহ শীতে কাঁপছে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। তবে পূর্বাঞ্চলীয় ইয়াকুতিয়া শহরই সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডার রেকর্ড করেছে। ওই এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রিরও কম রেকর্ড করা হয়েছে। মস্কো থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পূর্ব দিকের ওই অঞ্চলটিতে অবশ্য এমনিতেই ঠাণ্ডার প্রকোপ অনেক বেশি থাকে।
২০১৩ সালে ওই অঞ্চলে তাপমাত্রার রেকর্ড ছিল মাইনাস ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু তারপরেও এবারের তাপমাত্রাকে অস্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়াবিদরা। গত সপ্তাহেও রাশিয়ার ওই অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপমাত্রা ছিলো মাইনাস ৫০ ডিগ্রির মতো। শীতের সময়ে সাধারণত এ অঞ্চলের অধিবাসীরা ঘর থেকে বের হননা। স্কুলও বন্ধ রাখা হয়।
সতর্কতার অংশ হিসেবে এমন ঠাণ্ডায় মদ্যপান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয় কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান জনিত কারণে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই ওঠানামা করতে পারে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে গরম বা ঢিলেঢালা কাপড় পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাতাস এড়িয়ে চলতে এবং বাচ্চাদের কিছুক্ষন পরপর উষ্ণ স্থানে রাখার জন্যও বাসিন্দাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অবিশ্বাস্য ঠাণ্ডা আর সূর্যের আলো সবচেয়ে কম দেখার জন্য রাশিয়ায় রেকর্ড করেছে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর। এই মাসকে বলা হচ্ছে ডার্কেস্ট বা সবচেয়ে অন্ধকার হিসেবে। এর আগে মস্কোর সবচেয়ে অন্ধকার মাসের রেকর্ড গড়েছিলো ২০০০ সালের ডিসেম্বর। সে সময় পুরো মাসে সূর্য দেখা গিয়েছিলো মাত্র তিনবার।
টিটিএন/আরআইপি